দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০২ ডিসেম্বর : মাসিক বেতনের বিনিময়ে হস্তশিল্পের কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে । শুক্রবার ভাতার ব্লকের মুরারীপুর, খেড়ুর, বড়বেলুন, নাসিগ্রামসহ বেশ কিছু গ্রামের বাসিন্দা মহিলারা এনিয়ে বিডিওর দ্বারস্থ হন । মহিলাদের অভিযোগ,হস্তশিল্পের কাজের জন্য ‘রুরাল ডেভেলপমেন্ট মিশন’ নামে একটি সংস্থায় তাঁদের কার্ড করিয়ে দিয়েছিলেন ভাতারের মুরারীপুর গ্রামের বাসিন্দা পলি দাঁ নামে এক গৃহবধূ ৷ কার্ড করাতে তাঁদের কাছ থেকে ২০০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল । জরির ওপর পূঁতি, চুমকি প্রভৃতি বসানোর কাজ করানোর কথা বলা হয়েছিল । মালপত্র সংস্থাই দেবে বলেছিল । আর এই কাজের বিনিময়ে মাসিক ১২০০ টাকা পারিশ্রিমিক দেওয়ার কথা বলা হয় । এছাড়া সদস্য সংখ্যা বাড়ালে অতিরিক্ত কমিশন দেওয়া হবে বলে বলা হয়েছিল বলে দাবি অভিযোগকারিনীদের ।
অভিযোগকারী গৃহবধু শম্পা রায়,সীমারানি হাজরা,মৌমিতা রায়, কাকলী রায়রা বলেন,’কেউ কেউ একমাস কাজ করে ১২০০ টাকা পেয়েছেন । কিন্তু তারপর থেকে আর কেউ টাকা পায়নি। জমা দেওয়া টাকা ফেরত চাইতে গেলে দেখা যায় ওই অফিস বন্ধ হয়ে গিয়েছে । এভাবে পলি দাঁ নামে ওই মহিলা ওই সংস্থাকে সামনে রেখে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন ।’ যদিও পলি দাঁয়ের দাবি,’আমি কারও সঙ্গে প্রতারণা করিনি । আমি নিজের হাতে কারোর কাছ থেকে টাকাও নিইনি । সবাই ওই সংস্থার অফিসে জমা দিয়েছে । আমি নিজেই প্রতারণার শিকার । অনান্যদের মত আমিও কাজ করতে গিয়েছিলাম ওই সংস্থায় ।’
জানা গেছে,মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রাম এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে অফিস খুলে বসেছিল ‘রুরাল ডেভেলপমেন্ট মিশন’ নামে ওই সংস্থাটি । কিন্তু গত ১৯ নভেম্বর থেকে ওই অফিস বন্ধ হয়ে গিয়েছে । এদিন প্রতারিত গৃহবধূরা ভাতারের বিডিওর কাছে ওই সংস্থা ও মুরারীপুর গ্রামের ওই মহিলার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগপত্রের প্রতিলিপি ভাতার থানাতেও জমা দেন তাঁরা । ভাতারের বিডিও অরুন কুমার বিশ্বাস বিষয়টি খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন ।।