এইদিন ওয়েবডেস্ক,সিডনি,২৩ মে : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অস্ট্রেলিয়ার সিডনির কুডোস ব্যাঙ্ক অ্যারেনায় ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মাঝে ভাষণ দিলেন আজ মঙ্গলবার । ভিড়ে ঠাসা স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে উঠতেই উঠল “মোদি মোদি” ধ্বনি । পাশাপাশি “গণপতি বাপ্পা মোরিয়া”, “ভারত মাতা কি জয়” শ্লোগানে মুখোরিত হয়ে ওঠে গোটা স্টেডিয়াম । তার আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং আয়োজক অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজকে ভারতীয় পদ্ধতিতে স্বাগত জানানো হয়। বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে পুরোহিতরা উভয় নেতার কপালে টিকা পড়িয়ে দেন ।
সিডনির অলিম্পিক পার্কে অবস্থিত স্টেডিয়ামে “নমস্তে অস্ট্রেলিয়া” বলে ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী । তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং আমার প্রিয় বন্ধু অ্যান্থনি অ্যালবানিজ,প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন, বিদেশমন্ত্রী, যোগাযোগমন্ত্রী, জ্বালানিমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, সকল সদস্য এবং অস্ট্রেলিয়ার সকল জনগণ এবং উপস্থিত বিশাল সংখ্যক মানুষকে আমার নমস্কার ।’
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদীই বস ।’ এই সময় স্টেডিয়াম মোদী-মোদি স্লোগানে মুখরিত হয়। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানানো একটি সৌভাগ্যের বিষয়। শেষবার আমি এই মঞ্চে ব্রুস স্প্রিংস্টিন (গায়ক) কাউকে দেখেছিলাম এবং তিনিও প্রধানমন্ত্রী মোদীর মতো অভ্যর্থনা পাননি ।’
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন,’আমি যখন ২০১৪ সালে এসেছিলাম তখন আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে আপনাদের আর ২৮ বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। ২০১৪ সালের পর আজ আবার আপনাদের সামনে হাজির হলাম । তবে আমি একা আসিনি। আমি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এসেছি । তাঁর উষ্ণ অভ্যর্থনাতেই প্রমাণ যে ভারতের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার অনেক ভালোবাসা রয়েছে । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।’ প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই বক্তব্যের পর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে হাত নাড়তে দেখা যায় ।
নরেন্দ্র মোদী বলেন,’আমাদের জীবনধারা ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু এখন আমরা পরস্পরের সাথে সংযুক্ত । জানিনা কবে থেকে আমরা ক্রিকেটের সাথে যুক্ত, কিন্তু এখন টেনিস এবং চলচ্চিত্রও আমাদের সাথে যুক্ত হচ্ছে। ভারতের সামর্থ্যের অভাব নেই, সম্পদেরও অভাব নেই । আজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিভার কারখানা হল… ভারত ।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে দেশটি করোনা মহামারীতে বিশ্বের দ্রুততম টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করেছে… সেই দেশটি হল ভারত। আজ যে দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল বৃহত্তম অর্থনীতি, সেই দেশটি হল ভারত।
আজ যে দেশটি বিশ্বের এক নম্বর স্মার্টফোন ডেটা গ্রাহক রয়েছে,তার নাম ভারত। ভারত হাজার বছরের জীবন্ত সভ্যতা। ভারত গণতন্ত্রের মা।
আমরা সময় অনুযায়ী নিজেদেরকে গড়ে তুলেছি ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন,’আজ ভারতকে বিশ্বের ভালোর শক্তি বলা হচ্ছে। যেখানেই বিপর্যয় হোক, ভারত সাহায্যের জন্য প্রস্তুত। আমরা বিশ্বকে একত্রিত করতে কাজ করছি। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াস… এটাই আমাদের সরকারের ভিত্তি। এটি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি। সম্প্রতি তুরস্কে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হলে ‘অপারেশন দোস্ত’
এর মাধ্যমে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ভারত।’।