চন্দ্রশেখর চন্দ্রশেখর
চন্দ্রশেখর পাহি মাম্ ।
চন্দ্রশেখর চন্দ্রশেখর
চন্দ্রশেখর রক্ষ মাম্ ॥১॥
রত্নসানুশরাসনং রজতাদ্রিশৃঙ্গনিকেতনং
সিঞ্জিনীকৃত পন্নগেশ্বরমচ্যুতানন সায়কম্ ।ক্ষিপ্রদগ্ধপুরত্রয়ং ত্রিদিবালয়ৈরভিবন্দিতং
চন্দ্রশেখরমাশ্রয়ে মম কিং করিষ্যতি বৈ যমঃ ॥২॥
পঞ্চপাদপ পুষ্পগন্ধ পদাম্বুজদ্বয় শোভিতং
ভাললোচন জাতপাবক দগ্ধমন্মথবিগ্রহম্ ।ভস্মদিগ্ধকলেবরং ভব নাশনং ভবমব্যয়ং
চন্দ্রশেখরমাশ্রয়ে মম কিং করিষ্যতি বৈ যমঃ ॥৩॥
মত্তবারণ মুখ্যচর্মকৄতোত্তরীয় মনোহরং
পঙ্কজাসন পদ্মলোচন পূজিতাঙ্ঘ্রিসরোরুহম্ ।দেবসিন্ধুতরঙ্গসীকর সিক্তশুভ্রজটাধরং চন্দ্রশেখরমাশ্রয়ে মম কিং করিষ্যতি বৈ যমঃ ॥৪॥
যক্ষরাজসখং ভগাক্ষহরং ভুজঙ্গবিভূষণং শৈলরাজসুতাপরিষ্কৃত চারুবামকলেবরম্ ।ক্ষ্বেডনীলগলং পরশ্বধধারিণং মৃগধারিণং চন্দ্রশেখরমাশ্রয়ে মম কিং করিষ্যতি বৈ যমঃ ॥৫॥
কুণ্ডলীকৃত কুণ্ডলেশ্বর কুণ্ডলং বৃষবাহনং নারদাদিমুনীশ্বর স্তুতবৈভবং ভুবনেশ্বরম্ ।অন্ধকান্তকমাশ্রিতামরপাদপং শমনান্তকং চন্দ্রশেখরমাশ্রয়ে মম কিং করিষ্যতি বৈ যমঃ ॥৬॥
ভেষজং ভবরোগিণামখিলাপদামপহারিণং দক্ষয়জ্ঞবিনাশনং ত্রিগুণাত্মকং ত্রিবিলোচনম্ ।ভুক্তিমুক্তিফলপ্রদং সকলাঘসঙ্ঘনিবর্হণং চন্দ্রশেখরমাশ্রয়ে মম কিং করিষ্যতি বৈ যমঃ ॥৭॥
ভক্তবৎসলমর্চিতং নিধিমক্ষয়ং হরিদম্বরং
সর্বভূতপতিং পরাৎপরমপ্রমেয়মনুত্তমম্ ।সোমবারিদভূহুতাশন সোমপানিলখাকৃতিং চন্দ্রশেখরমাশ্রয়ে মম কিং করিষ্যতি বৈ যমঃ ॥৮॥
বিশ্বসৃষ্টিবিধায়িনং পুনরেব পালনতৎপরং
সংহরন্তমপি প্রপঞ্চমশেষলোক নিবাসিনম্ ।ক্রীডয়ন্তমহর্নিশং গণনাথয়ূথসমন্বিতং
চন্দ্রশেখরমাশ্রয়ে মম কিং করিষ্যতি বৈ যমঃ ॥৯॥
মৃত্যুভীত মৃকণ্ডুসূনুকৃতস্তবং শিবসন্নিধৌ
যত্র কুত্র চ যঃ পঠেন্ন হি তস্য মৃত্যুভয়ং ভবেৎ ।পূর্ণমায়ুররোগতামখিলার্থ সম্পদমাদরাৎ
চন্দ্রশেখর এব তস্য দদাতি মুক্তিময়ত্নতঃ ॥১০॥
ইতি শ্রীচন্দ্রশেখরাষ্টকস্তোত্রং সম্পূর্ণম্ ॥
বিশেষ দ্রষ্টব্য :-
হিন্দু ধর্মে চন্দ্র দোষ দূর করতে ও শিবের আশীর্বাদ পেতে কিছু স্তোত্রের উল্লেখ রয়েছে। এমনই একটি স্তোত্র হল শিব চন্দ্রশেখর অষ্টক স্তোত্র … চন্দ্রশেখরাষ্টকম্ । সপ্তাহের সোমবারের দিনটি ভগবান শিবকে সমর্পিত এবং এই দিনের অধিপতি গ্রহ চন্দ্র। তবে সোমবার শিবের দিন হলেও ভোলানাথকে প্রসন্ন করার জন্য সপ্তাহের যে কোনও দিনে তাঁর পুজো করা যায় । সোমবারের অধিপতি গ্রহ শিব। আবার মহাদেবের মস্তকে চন্দ্র শোভা পায়। এ কারণে শিবের অপর নাম সোমনাথ। তাই সোমবার শিবের পাশাপাশি চন্দ্রের পুজো করেও মানসিক বিকার, দৈনন্দিন জীবনের অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। জ্যোতিষ মতে চন্দ্র মজবুত না-হলে মানসিক বিকার, অবসাদের শিকার হয় ব্যক্তি। পাশাপাশি মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়। এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য চন্দ্রশেখর স্তোত্র (চন্দ্রশেখরাষ্টকম্)পাঠ করার বিধান রয়েছে। শাস্ত্র মতে প্রতি সোমবার এই স্তোত্র পাঠ করা উচিত। এর ফলে মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি অর্থ সঞ্চিত হয়। এমনকি জীবনে চন্দ্রের অশুভ প্রভাবও কমে আসে। এই স্তোত্র পাঠ করলে শিবের আশীর্বাদ লাভ করতে পারেন।।