শেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২২ ফেব্রুয়ারী : দারিদ্রতাকে জয় করে ভাতারের মাটিতে ফুটবল খেলে বাংলাকে সন্তোষ ট্রফি জয়ী করার অন্যতম কারিগর রবি হাঁসদা। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে উঠে আসা রবির এই সাফল্যকে অনুসরণ ও অনুকরণ করে যুবকদের খেলাধুলা করে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বার্তা দিলেন মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং ভারতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার শেখ হাবিবুর রহমান। ভাতারের মোহনপুর সংলগ্ন ফুটবল মাঠের মঞ্চ থেকে এমনই বার্তা দেন তিনি ।
জানা গেছে, এলাকায় খেলাধুলায় বৃদ্ধি ঘটানোর লক্ষ্যে ভাতারের বনপাস অঞ্চলের মোড়লপাড়া সিংহবাহিনী সংঘ ও ঘোষপাড়া আরাধনা সংঘের উদ্যোগে মাসখানেক আগে ৮ দলীয় ফুটবল প্রতিযোগিতার সূচনা হয়। চূড়ান্ত পর্যায়ে ফাইনাল খেলায় শনিবার মুখোমুখি হয় বর্ধমান ডেভিলাল একাদশ বনাম পান্ডুয়া ফুটবল একাডেমী। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১-০ গোলে পান্ডুয়া ফুটবল একাডেমী প্রতিযোগিতার বিজয়ী হিসেবে ঘোষিত হয়। খেলায় বিজয়ী ও বিজিত দলকে ট্রফি সহ আর্থিক পুরস্কার প্রদান করা হয়। ফাইনাল প্রতিযোগিতাকে আকর্ষণীয় করতে অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেন ক্রীড়াপ্রেমী শুভদীপ মন্ডল। খেলাটি মহিলা রেফারি দ্বারা পরিচালিত হয়। খেলা শুরুর আগেই হাওড়া থেকে আগত প্রতিভাবান ফুটবল জ্যাকলিন সেখ কাওজার মীরের অনবদ্য প্রদর্শনীতে জমজমাট হয়ে ওঠে ক্রীড়া প্রাঙ্গণ। ক্ষুদে কিশোর বাহিনীর শিল্পীদের নজরকাড়া পরিদর্শনীতে মুগ্ধ দর্শকমন্ডলী। যুব সমাজকে মাঠমুখী করার লক্ষ্যে আয়োজকদের এই উদ্যোগকে প্রশংসা করেছেন উপস্থিত অতিথিরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে মাঠে হাজির ছিলেন, জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার ও মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রাক্তন সদস্য শেখ হাবিবুর রহমান, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের শিক্ষা ক্রীড়া ও তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের কর্মধ্যক্ষ শান্তনু কোনার, ভাতার গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান অমিত কুমার হুই, ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা ও ক্রীড়া কর্মাধ্যক্ষ সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন বনাঞ্চল আধিকারিক জয়ন্ত ধাড়া সহ বিশিষ্টজনেরা।
জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু কোনার বলেন, রাজ্য সরকার ক্লাবগুলিকে আর্থিক অনুদানের দেওয়ার সাথে সাথে গ্রামাঞ্চলে খেলাধুলার মান আরো বৃদ্ধি ঘটেছে। আগামীতে যুব সমাজের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে ক্লাবের আয়োজিত জমজমাট এই ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন যুবসমাজ আরো মাঠমুখী হয়ে উঠবে।।