কৌটিল্য বা চাণক্য হলেন প্রাচীন ভারতীয় অর্থনীতিবিদ, দার্শনিক ও রাজ-উপদেষ্টা এবং অর্থশাস্ত্র বিষয়ক বিখ্যাত গ্রন্থের রচয়িতা । চাণক্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিষয়ে প্রাচীন ভারতের একজন দিকপাল ছিলেন । তাঁর তত্ত্বগুলি চিরায়ত অর্থনীতির বিকাশ লাভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল । শুধু অর্থশাস্ত্রই নয়, ধর্ম, রাজনীতি, সমাজ, পরিবারসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি তার ভাবনা উপস্থাপন করে গেছেন। চাণক্যনীতি খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ থেকে তৃতীয় শতাব্দীতে লিখিত । চাণক্যের রচনা গুপ্ত সাম্রাজ্যের শাসনের শেষ দিকে অবলুপ্ত হয় এবং ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে পুনরাবিষ্কৃত হয়। চাণক্যের লেখা নীতিবচনের একটি সংগ্রহ ১৯ শতকে গ্রীক ভাষায় প্রথম ইউরোপীয় অনুবাদ করা হয়েছিল। চাণক্যনীতির উপদেশগুলো আজও সমান প্রাসঙ্গিক । জীবনে সফল হতে চানক্যের পরামর্শ খুবই কার্যকরী । আপনি যদি সফল হতে চান তাহলে চাণক্যনীতি অনুসারে এই ৬ টি বিষয় আছে যা সবসময় লুকিয়ে রাখা উচিত ।
একটি উপকারী ভেষজ : একটি উপকারী ভেষজ বা ওষুধ যা তৈরি করা হয়েছে তা কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে যখন লোকেরা এটি নিয়ে ব্যবসা করার কথা ভাবে। আপনি যদি এমন কোনো ওষুধ খান, তবে সেটা গোপন রাখুন। এমনও একটি বিশ্বাস রয়েছে যে আপনি যদি মদ পান করেন তবে তা গোপন রাখুন। লোকেরা আপনার মদ্যপান সম্পর্কে জানতে পারলে আপনার পতন অনিবার্য ।
ধর্ম : আপনি যে ধর্মে বিশ্বাস করেন সে সম্পর্কে কাউকে বলা উচিত নয়। আপনি গোপনে এটা অনুসরণ করুন । যেহেতু ধর্ম একটি ব্যক্তিগত বিষয় তা গোপন রাখাই উচিত। যেমন দান করলে গোপনে করতে হয় । নিজেকে মহিমান্বিত করতে দানের কথা প্রচার করলে পুণ্য পাওয়া যায় না। এমনকি আপনার স্ত্রীকেও আপনার দানের কথা বলা উচিত নয়।
পারিবারিক সমস্যা : প্রতিটি বাড়িতেই কিছু না কিছু পারিবারিক সমস্যা থাকে। আপনি যদি আপনার বাড়ির সমস্যার কথা অন্যকে বলতে যান তবে এটি আপনাকে অসম্মানিত করবে এবং লোকেরা এর সুবিধাও নিতে পারে। তাই আপনার ঘরের খুঁত সবসময় লুকিয়ে রাখুন। এটা আপনার কোন বন্ধুকে জানালে পরিবারের সদস্যদের মনে কষ্ট হতে পারে। এছাড়াও, বাড়ির ত্রুটি সম্পর্কে অন্যদের বলা আপনার দুর্বলতাকে দেখায়।
বৈবাহিক সুখ : আপনার বৈবাহিক জীবন এবং পারিবারিক বিষয়গুলি সর্বদা গোপন রাখুন। বিবাহিত জীবনের কথাবার্তা সবসময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের কথা অন্যদের বলার অর্থ যে আপনি অভদ্র এবং অবিশ্বস্ত।
কথা নিয়ে চালাচালি : একের কথা অন্যকে বলে দেওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত । এতে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা হারায় । এমনটা করলে আপনার সুনাম নষ্ট হতে পারে। তাই কারোর সম্পর্কে খারাপ কিছু শুনলে তা অন্য কাউকে বলবেন না।
ভুল করে খাওয়া কোনো খাবার : আপনি যদি ভুলবশত আপনার সমাজে নিষিদ্ধ কোনো খাদ্যদ্রব্য খেয়ে থাকেন, তাও গোপন রাখতে হবে। অন্যথায় আপনার সুনাম নষ্ট হবে ।।