দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৮ অক্টোবর : করোনার প্রথম ডোজের টিকা পেয়ে গেছেন । দ্বিতীয় ডোজের জন্য ডিসেম্বর মাসে সময় দেওয়া হয়েছে । কিন্তু এরই মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে চলে এসেছে ভ্যাক্সিনেশনের শংসাপত্র । ফলে বিপাকে পড়ে গেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার চালকলের এক কর্মী । সচ্চিদানন্দ ঘোষ নামে ওই চালকল কর্মীর আশঙ্কা তিনি হয়তো আদপেই আর দ্বিতীয় ডোজ পাবেন না । শেষমেশ তিনি কাটোয়া পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছেন । শংসাপত্র এসে গেলেও দ্বিতীয় ডোজ নিতে কোনও সমস্যা হবে বলে পুরসভার তরফ থেকে তাঁকে আশ্বস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে ।
জানা গেছে,মঙ্গলকোটের কুলশুনা গ্রামে বাড়ি সচ্চিদানন্দ ঘোষের । তিনি কাটোয়ার একটি চালকলে কাজ করেন । কাটোয়া শহরের স্টেডিয়াম পাড়ায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন ।সচ্চিদানন্দবাবু জানিয়েছেন,কাটোয়া পুরসভার ভাগীরথী ইউপিএইচসি সেন্টার থেকে সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখে তিনি কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন । ডিসেম্বর মাসে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা । কিন্তু দিন দুই আগে হঠাৎ তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ আসে । তাতে জানানো হয় তাঁর ভ্যাকসিনেশন সম্পূর্ণ হয়ে গেছে । এমনকি শংসাপত্র পর্যন্ত তাঁকে দিয়ে দেওয়া হয় ।
সচ্চিদানন্দবাবু বলেন, ‘শংসাপত্রে দেখি অন্ধ্রপ্রদেশের কোনদ্রু এলাকার একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে আমি নাকি দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছি । যাওয়া তো দূরের কথা কস্মিন কালেও ওই জায়গার নামই শুনিনি । এই পরিস্থিতিতে আমি দ্বিতীয় ডোজ পাবো কিনা জানিনা । যদিও বিষয়টি কাটোয়া পুরসভায় লিখিতভাবে জানিয়েছি । এখন দেখি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ আমায় দেওয়া হয় কিনা ।’
যদিও সচ্চিদানন্দবাবু যথা সময়েই দ্বিতীয় ডোজ পাবেন বলে জানিয়েছেন কাটোয়া পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের নোডাল অরিন্দম বিশ্বাস । কিন্তু আচমকা অন্ধ্রপ্রদেশের শংসাপত্র কেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘অন্ধ্রপ্রদেশের কোনদ্রু এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওই ব্যক্তির মোবাইল নম্বর কোনওভাবে নথিভুক্ত হয়ে গেছে । তার জেরেই এই সমস্যা । এখানে আমাদের কোনও ভূমিকা নেই ।’।