এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৩ সেপ্টেম্বর : লোকসভা, রাজ্য বিধানসভা, পৌরসভা এবং পঞ্চায়েতের একযোগে নির্বাচনের বিষয়টি দ্রুত পর্যালোচনা এবং সুপারিশ করার জন্য একটি ৮ সদস্যের কমিটি গঠনের আদেশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দকে কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী, প্রাক্তন রাজ্যসভার সদস্য গুলাম নবী আজাদ, প্রাক্তন অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান এন কে সিং এবং অন্যান্যদের সদস্য হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে । প্রাক্তন লোকসভা সচিব সুভাষ সি কাশ্যপ, সিনিয়র অ্যাডভোকেট হরিশ সালভে এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের প্রধান সঞ্জয় কোঠারিও এই কমিটির সদস্য । আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল কমিটির বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এবং আইন বিষয়ক সচিব নিতেন চন্দ্র কমিটির সচিব হবেন । কমিটি অবিলম্বে কাজ শুরু করে শিগগিরই সুপারিশ করবে । একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় আইন ও প্রবিধান পর্যালোচনা করে সুপারিশ করবে এই কমিটি ।
এদিকে এই কমিটিতে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী । তিনি বলেছেন, আমি মনে করি এই সব একটি বড় কেলেঙ্কারি । কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে সেই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি যা বড় লজ্জার বিষয় ।’ তাই ওই কমিটিতে তিনি থাকবেন না বলে অমিত শাহকে চিঠি দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ।
উল্লেখ্য,’এক দেশ এক নির্বাচন’ লাগু হলে হাজার হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে দেশের । রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশ জুড়ে লোকসভা নির্বাচন করাতে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার মত খরচ হয় । যেখানে প্রতি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে খরচ হয় আনুমানিক ১,২০০ থেকে ১,৫০০ কোটি টাকা করে । এর বাইরে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রচারের খরচ রয়েছে । ফলে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ লাগু হলে বিপুল অঙ্কের টাকা দেশের পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজে লাগানো যাবে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞমহল । এছাড়া বারবার ভোট করাতে গিয়ে সরকারি কাজকর্ম কার্যত লাটে ওঠে । ফলে অনেক কর্ম দিবস নষ্ট হয়ে যায় । একসাথে নির্বাচন হয়ে গেলে সেই সমস্যাও মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।।