প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৫ আগষ্ট : সিবিআই হেপাজতের মেয়াদ শেষে এখন শ্রীঘরবাসী বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল । আর ঠিক এমনই সময়ে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের মামলায় সিবিআই তলবপত্র পাঠাল অনুব্রতর রাজনৈতিক ক্ষেত্র পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের ভাল্কি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি জিতেন বাগদীকে । তবে অবশ্য তাঁকে দুর্গাপুর বা কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে যেতে হবে না । সিবিআই আধিকারিকরাই ২ সেপ্টেম্বর দুপুর ৩টের মধ্যে জিতেন বাগদীর বাড়িতে পৌছে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন । এই মর্মেই সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জিতেন বাগদীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে । যদিও জিতেন বাগদী এই নোটিশের বিষয়টি স্বীকার করেননি ।
সিবিআই এই প্রথম আউশগ্রামের কোন তৃণমূল নেতাকে নোটিশ পাঠালো এমনটা নয় । ইতিপূর্বে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আউশগ্রামের একাধিক তৃণমূল নেতাকে দুর্গাপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে তলব করা হয়েছিল।সেখানে তাদের সিবিআই জেরার মুখোমুখি হতে হলেও কেউ গ্রেপ্তার হন নি।এবার সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হতে হবে সদ্য আউশগ্রামের ভাল্কি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া জিতেন বাগদীকে । দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,দীর্ঘদিন ভাল্কি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভপাতি পদে দায়িত্ব সামলেছেন অরুপ মিদ্যা । দল গত ৬ আগষ্ট অরূপ মিদ্যাকে সরিয়ে তার জায়গায় জিতেন বাগদীকে ভাক্লি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি করে ।
সিবিআইয়ের এই নোটিশ পাঠানো বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন,’এরকম খবর আমার জানা নেই। তবে সবই তো বোঝা যাচ্ছে কি হচ্ছে । রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা হচ্ছে । তবে এইসব করে কাছু লাভ হবে না । বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন ।’ তবে বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন,’আমরা তো বারে বারে আবেদন করেছি দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদের সিবিআই গ্রেপ্তার করে তদন্ত করুক । আগামীদিনে বাংলার দুর্নীতিবাজ নেতারা কেউ রেয়াত পাবে না ।’।