এইদিন ওয়েবডেস্ক,কানাডা,০৭ জানুয়ারী : কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেছেন। জাস্টিন ট্রুডো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছেন যে লিবারেল পার্টি তাদের পরবর্তী নেতা নির্বাচন করার পর তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। ট্রুডো গভর্নর জেনারেল মেরি সিমন্সকে আগামী ২৪ মার্চ, পর্যন্ত সরকারী অধিবেশন ভেঙে দিতে বলেছেন। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি তার পদে বহাল থাকবেন। চারিদিকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রুডো। জাস্টিন ট্রুডো গত ৯ বছর ধরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে তার মেয়াদ ছিল ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ।
স্থানীয় সময় সোমবার(৬ জানুয়ারী) সকালে এক সাংবাদিকসম্মেলনে জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা করেন । তিনি বলেন,’নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর আমি দলের নেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে চাই… আগামী নির্বাচনে দেশের কাছে অবশ্যই একটি ভাল বিকল্প থাকতে হবে। যদি আমি এভাবেই অভ্যন্তরীণ লড়াই চালিয়ে যাই, তাহলে আমি কানাডায় ব্যালটে থাকব। মানুষের জন্য সেরা বিকল্প নাও হতে পারে।’ এ সময় জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার অর্জনের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন,২০২১৫ সালে যখন তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন তখন থেকে কানাডার পরিস্থিতি এখন অনেক ভালো।
সাংবাদিক সম্মেলনে ৫৩ বছর বয়সী ট্রুডো বলেন, ‘আমি ২০১৫ সালে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করার পর থেকে দেশের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করেছি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি মহামারী মোকাবেলায় কাজ করেছি। গণতন্ত্রকে মজবুত রাখতে নিয়োজিত ছিলাম । এর বাইরে ব্যবসার উন্নতির জন্য কাজ করেছি। আপনারা সবাই জানেন যে আমি একজন যোদ্ধা।’
২০২৫ সালের অক্টোবরে কানাডায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত কে হবেন তা নিয়ে এখন জল্পনা চলছে । কানাডার প্রাক্তন সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের নাম সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এছাড়া প্রাক্তন কেন্দ্রীয় ব্যাংকার মার্ক কার্নিও প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে রয়েছেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরিবহনমন্ত্রী অনিতা আনন্দ ছাড়াও এই তালিকায় নাম রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানিয়া জোলিরও।
কানাডার পার্লামেন্ট হাউস অফ কমন্সে মোট, ৩৩৮ টি আসন রয়েছে । যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠের সংখ্যা ১৭০। বর্তমানে সংসদে লিবারেল পার্টির ১৫৩ জন এমপি রয়েছে। কয়েক মাস আগে, ট্রুডো সরকারের মিত্র – নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) – তার কাছ থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছিল। যার কারণে ট্রুডোর সরকার সংখ্যালঘুতে পড়ে যায়। তবে,পয়লা অক্টোবর অনুষ্ঠিত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পরীক্ষায়, ট্রুডোর লিবারেল পার্টি অন্য একটি দলের সমর্থন পায়। যার কারণে ট্রুডো সরকার পতনের হাত থেকে রক্ষা পায়।।