এইদিন ওয়েবডেস্ক,কানাডা,১৫ অক্টোবর : রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশে জাতীয় নিরাপত্তার সহকারী কমিশনার ব্রিজিট গভিন বলেছেন যে লরেন্স বিষ্ণোই গ্রুপ ভারত সরকারের এজেন্টদের সাথে যুক্ত। তার এই মন্তব্যের পর দু’দেশের সম্পর্ক কার্যত তলানিতে পৌঁছে গেছে । অন্টারিওর অটোয়াতে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্রিজিট গভিন বলেন,’ভারত দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়কে টার্গেট করছে। বিশেষ করে কানাডার খালিস্তানপন্থী উপাদানগুলো.. আমরা জানতে পেরেছি যে তারা সংগঠিত অপরাধের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের ব্যবহার করে। এটি প্রকাশ্যে একটি গোষ্ঠীকে দায়ী করা হয়েছে – বিষ্ণোই গ্রুপ এবং দাবি করা হয়েছে… আমরা বিশ্বাস করি এই গ্রুপটি ভারত সরকারের এজেন্টদের সাথে যুক্ত।’
এরই মধ্যে ভারত ও কানাডার সম্পর্ক খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে। নয়াদিল্লিতে কানাডার হাইকমিশনারসহ ছয়জন কূটনীতিককে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার । নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে ভারতীয় কানাডিয়ান কূটনীতিকদের ১৯ অক্টোবর রাত ১১:৫৯ টার মধ্যে ভারত ত্যাগ করতে হবে।এই খবরের কিছুদিন আগে, ভারত কানাডায় তার হাইকমিশনার সহ অনেক কূটনীতিককে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
আসলে খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের পর কানাডা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল। এরপর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক আর স্বাভাবিক হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় একের পর এক অনেক ঘটনা ঘটেছে। রবিবার,১৩ অক্টোবর কানাডা অভিযোগ করেছিল যে ভারতীয় হাইকমিশনার এবং অন্যান্য কূটনীতিকরা সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার তদন্তে ‘আগ্রহী ব্যক্তি’ ছিলেন। তার মানে এই হত্যাকাণ্ডে তার ভূমিকা সন্দেহজনক হতে পারে। এর পর ভারত জাস্টিন ট্রুডো এবং তার সরকারের কঠোর ভাষায় নিন্দা জানায়। ভারত কানাডার এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং জাস্টিন ট্রুডো সরকারের বিরুদ্ধে ভোটব্যাংকের রাজনীতি করার অভিযোগ করেছে। একই সঙ্গে দেশের খবরে রয়েছেন লরেন্স বিষ্ণোই। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন বিধায়ক ও প্রবীণ নেতা বাবা সিদ্দিকীর হত্যাকাণ্ডে লরেন্সের নাম উঠেছিল। একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে দাবি করা হয়, বাবা সিদ্দিকীকে হত্যা করেছে বিষ্ণোই গ্যাং। তবে এর তদন্ত চলছে।।