প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৬ মার্চ : লোকসভা ভোট ঘোষনার আগেই ভারতে লাগু হয়েছে সিএএ (CAA)। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সিএএ(CAA)লাগু করে বাহবা কুড়তে চাইলেও এর তীব্র বিরোধীতা করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর সেই প্রতিবাদের সুরে সুর মিলিয়ে ’বর্ধমান পূর্ব’ লোকসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ডাঃ শর্মিলা সরকার জানিয়ে দিলেন, সিএএ(CAA) লাগুর প্রতিফলন ইভিএমে(EVM) দেখাবে বাংলার মানুষ।শর্মিলার দাবি,সিএএ(CAA) লাগু করা নিয়ে তৈরি হওয়া ক্ষোভের প্রতিফলন আর তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের পক্ষে পড়া ভোটেই নিশ্চিৎ হয়ে যাবে তাঁর জয়।
২০১৯ শের লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনটি তৃণমূলের হাতছাড়া হলেও হাতছাড়া হয়নি বর্ধমান পূর্ব লোকসভা আসন।সেবার তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দিতা এই আসনে জয়ী হন সুনীল মণ্ডল ।তবে ২০২১ শের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সুনীল মণ্ডল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তাঁকে নিয়ে তৃণমূলে অসন্তোষ তৈরি হয় । কিন্তু ২১ শে বিজেপিয় বাংলা জয়ের স্বপ্ন পূরণ না হওয়ায় সুনীল মণ্ডল ফের তৃণমূলে আসেন । কিন্তু তা সত্ত্বেও এবার তাঁকে প্রার্থী করার কোন ইচ্ছা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব আর দেখায় নি।দল ডাক্তার শর্মিলা সরকারের মত একেবারে নতুন মুখকে এবার বর্ধমান পূর্ব লোকসভা আসনে প্রার্থী করেছে ।
কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন শনিবার দেশের ৫৪৩ টি লোকসভা আসনে ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষনার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকার।পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের দুই চাণ্যক্য রবীন্দ্রনাথ চট্টোপধ্যায় ও স্বপন দেবনাথ কে দুপাশে বসিয়ে নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। নিজের লোকসভা কেন্দ্র অধীন কাটোয়ায় সংবাদিক বৈঠকে শর্মিলা সরকার বলেন,’আমি এই জেলার কাটোয়ার অগ্রদ্বীপেরই মেয়ে। এতদিন রোগীদের মন বুঝেছি। তাদের চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুলে আশীর্বাদ পেয়েছি। এবার রাজনীতিতে পদার্পণ করেছি। রাজনীতিতে আমি একেবারেই নতুন । তবে এটুকু বুঝেছি,এখানে আমাকে আরো বৃহত্ত্বর মানুষের সেবা করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় সেই দায়িত্ব দিয়েছেন।দলের সকল নেতা ও কর্মীরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাই লড়াইটা আমার খুব কঠিন মনে হচ্ছে না।কেননা বাংলার মানুষই একদিকে সিএএ(CAA) লাগুর প্রতিফলন ইভিএমে (EVM)ঘটাবে।অন্যদিকে তৃণমূলের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের পক্ষেও বহু মানুষ ভোট দেবেন। তাই রবিবার থেকেই প্রচারে নেমে পড়ছি। ওই দিন মেমারি ও কালনায় প্রচারে যাবো।’ জয়ী হয়ে পার্লামেন্টে গিয়ে মমতা দিদির হাত শক্ত করবেন বলে শর্মিলা জানান। রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি যতই লাফাক বর্ধমান পূর্ব লোকসভায় পদ্ম ফুটবে না । এই লোকসভায় এবারও ঘাসফুল ফুটবে ।।