এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৯ মে : কয়েকদিন বৃষ্টিপাতের পর ফের প্রায় পূর্বের ছন্দে ফিরে এসেছে তীব্র দাবদহ । বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান বাড়ায় হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের । ঘর্মাক্ত মানুষের ঘনঘন পিপাসা পাচ্ছে । এই দেখে পথচলতি তৃষার্ত মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের কয়েকজন পড়ুয়া । ওদের মধ্যে কেউ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, কেউ কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া । স্কুল-কলেজে টিফিনের খরচ বাঁচিয়ে ভাতার বাজারে বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়ক পথের ধারে ছোট্ট ক্যাম্প করে জলসত্রের আয়োজন করল স্বামীজির আদর্শে অনুপ্রাণিত ওই সমস্ত তরুনদের দল।
আজ রবিবার সকালেই ভাতার বাজারে বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটা পুরনো তেঁতুল গাছের নিচে জড়ো হতে দেখা যায় সৃজন মাহান্ত, তনীশা গোস্বামী, বংশ নন্দী, চন্দ্রিল রায়, গৌরব মণ্ডল সহ বেশ কয়েকজন তরুনকে । একটা ড্রামে জলে চিনি মিশিয়ে শরবত তৈরি করছিল তাদের মধ্যে কয়েকজন। সামনে রাখা টেবিলের উপর শরবত ভর্তি প্লাস্টিকের গ্লাস সাজিয়ে দিচ্ছিল তনীশা । সেই শরবত পথ চলতি মানুষের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছিল চন্দ্রিল-সৃজনরা ।
জানা গেছে,ওই সমস্ত তরুনরা “এসো মানুষ হও” নামে একটা সংগঠন পরিচালনা করে । স্বামী বিবেকান্দের ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ ওই তরুনরা পড়াশোনার ফাঁকে সারা বছর বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড চালায় । স্বামীজি বলেছিলেন,’যদি বড় কাজ কিছু নাও করতে পার ভিক্ষে করে একটা পয়সা সংগ্রহ করে তা দিয়ে একটা মাটির কলসি কিনে রাস্তার ধারে বসে তৃষ্ণার্ত পথিকদের জল দিও । তৃষ্ণার্তকে জলপান করালেও মহৎ কাজ হবে ।’ স্বামীজির এই বাণীকেই পাথেয় করে একদিন জলসত্রের আয়োজন করেছিল ভাতার বাজারের ওই পড়ুয়ারা ।।

