প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৪ ডিসেম্বর : পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই প্রকাশ্যে আসছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব । এবার তৃণমূলের এক অন্তঃসত্ত্বা জনপ্রতিনিধিকে খুনের হুমকি দেবার অভিযোগ উঠলো তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে । যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে।হুমকি দেবার ঘটনা নিয়ে অন্তঃসত্ত্বা জনপ্রতিনিধি চৈতালী হাত জামালপুর থানায় দলেরই তিন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।পুলিশ অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তিন তৃণমূল নেতা ও জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি।তবে এই ঘটনা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি নেতারা।
চৈতালী হাত পুলিশকে জানিয়েছেন,তিনি জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির একজন নির্বাচিত সদস্য।এতদিন মেহেমুদ খাঁন জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন। দল মেহেমুদ খাঁনকে ব্লক তৃণমূলের সভাপতি করার পর তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন।শুক্রবার ছিল পঞ্চায়েত সমিতির নতুন সভাপতি নির্বাচন । সেই নির্বাচনে তাঁদের পক্ষের মনোনিত প্রার্থী ছিলেন অরবিন্দ ভট্টাচার্য্য। আর মেহেমুদ খাঁন তাঁর অনুগত ভূতনাথ মালিককে প্রার্থী করেন। চৈতালী দাবি করেছেন তিনি অন্তংসত্ত্বা । তবুও সভাপতি নির্বাচনের ভোটাভুটিতে অংশ নিতে তিনি শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০ টায় সমিতিতে যান।চৈতালীর অভিযোগ নির্বাচন প্রক্রিয়া বয়কট করে তিনি সহ তাঁদের সবাই সামিতির ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন।ওই সময়ে বিডিও অফিস চত্ত্বরেই তাঁকে দেখে গালাগাল দেওয়া শুরু করে মেহেমুদ খাঁনের গোষ্ঠীর তিন তৃণমূল নেতা তাবারক আলী মণ্ডল,সেখ শাহাবুদ্দি ওরফে দানি ও তাপস ডকাল। এর তাঁকে মারধোর করতেও উদ্যত হয় । এমনকি তাঁকে ও তাঁর গর্ভের সন্তানকে প্রাণে মেরে দিয়ে দেহনিয়ে ফুটবল খেলা হবে বলে হুমকি দেয়।এইসবের পরিপ্রেক্ষিতে বিডিও অফিসে থাকা পুলিশ আধিকারিকরা তাঁদের গাড়ি করে তাঁকে বাড়িতে পৌছে দেয় ।
জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়
এই প্রসঙ্গে বলেন,’আমাকে কেউ কোন অভিযোগ জানায় নি। তবে আমি খোঁজ নেব“ । যদিও এই সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন আইএনটিটিইউসির ব্লক সভাপতি তাবারক আলী মণ্ডল।তিনি দাবি করেন,’শুক্রবার এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি । গোটা বিডিও অফিস চত্ত্বর পুলিশে ছয়লাপ ছিল । আসলে ভোটাভুটিতে ভূতনাথ ভালিক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় ওদের মুখ পুড়েছে। তাই এইসব মিথ্যা অভিযোগ তুলে ওরা মান বাঁচানোর চেষ্টা করছে ।’ নবনির্বাচিত সমিতির সভাপতি ভূতনাথ মালিক দাবি করেন, ভোটাভুটিতে চৈতালী হাত দের পক্ষে ছিলেন মাত্র ১৪ জন সদস্য । আর তাঁকে ২২ জন্য সদস্য সমর্থন করেন। পরাজায় নিশ্চিৎ বুঝে চৈতালি হাত সহ তাদের পক্ষের সবাই ভোটে অংশ নেয় না।পরাজয়ের গ্নানি ঢাকতে চৈতালী হাতকে দিয়ে এমন মিথ্যা অভিযোগ করিয়েই ওর পক্ষের নেতারা মুক রক্ষার কৌশল নিয়েছে বলে ভূতনাথ মালিক দাবি করেছেন । এদিকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচন নিয়ে জামাঢ়পুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসায় বেজায় উৎফুল্ল বিজেপি শিশির। বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি সৌম্যরাজ
বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,এখনই তৃণমূলের অন্তঃসত্ত্বা সদস্যাকে খুন করে ফুটবুল খেলবে বভে হুশিয়ারি দেওয়া শুরু করেদিয়েছে তৃণমূলেরই লোকজন ।
পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হয়ে যাবার পর তাহলে কি না পরিস্থিতি তৈরি হবে!তৃণমূলের লোকজন নিজেরা লড়াই করেই দলটাার অস্তিত্ব মুছে দেব বলে সৌম্যরাজ বাবু মন্তব্য করেছেন ।।