প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১১ মার্চ : নির্মান বেআইনি ।নিজের দায়িত্বে বাড়ির মালিকে ভেঙে ফেলতে হবে আটতলা বাড়ি ।তার জন্য সময় বেধে দেওয়া হয়েছে ১৫ দিন। বর্ধমান পুরসভার পুরপ্রধানের এমন নির্দেশ তোলপাড় ফেলে দিয়েছে শহর বর্ধমানে বাসিন্দা মহলে ।এমন নির্দেশ পেয়ে ওই বাড়ির মালিক দ্বারস্থ হয়েছেন আদালতের। আদাতলত পুরসভার নির্দেকেই কি বহাল রাখবে ,নাকি ভিন্ন রায় দেবে! এই চার্চতেই এখন সরগরম শহর বর্ধমান ।
বর্ধমান শহরের কালীবাজার মোড়ের কাছে জি টি রোডের পাশে গড়ে উঠেছে আটতলার একটি বিল্ডিং।কোনও রকম অনুমোদন ছাড়াই ওই আটতলা বিল্ডিংটি তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ ছিল পুরসভার।শুধু তাই নয় ,বাড়িটি নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে।এমন পরিস্থিতিতে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আধিকারিকদের নিয়ে ওই বিল্ডিংটি পরিদর্শনে যান বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার। তিনি কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে বাড়ি মালিককে কাগজপত্র নিয়ে পুরসভায়
হাজির হতে বলা বলা।
কিন্তু ওই বাল্ডিংটির মালিক পুরসভায় হাজির না হওয়ায় চটে যান চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার।
তাঁর অভিযোগ,’বিল্ডিংয়ের মালিক পুরসভায় আসেননি । এমনকি কোনো কাগজপত্রও দেখাননি।এহেন পরিস্থিতিতে বিল্ডিং মালিককেই গোটা আটতলা বিল্ডিং ভেঙে ফেলতে হবে বলে পুরসভার তরফে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। পনেরো দিনের মধ্যে বিল্ডিং ভেঙে ফেলতে হবে বলে পুরসভার পক্ষ থেকে বিল্ডিং মালিককে নোটিশ দেওয়া হয়েছে ।’ এই নির্দেশ মানা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুর প্রধান জানিয়েছেন। যদিও বাল্ডিংটির মালিক তুহিনকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।আদালত যা নির্দেশ দেবে সেটাই তিনি মেনে নেবেন ।
শহর বর্ধমানে এই প্রথম বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠলো এমনট নয়। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বর্ধমান শহর জুড়ে চর্চা জারি রয়েছে। বেআইনি নির্মানের অভিযোগও একের পর এক উঠেছে। এক তলা, দুতলা, চারতলা থেকে নানা বহুতল ও ফ্ল্যাট যথা নিয়মে তৈরি হয়নি,এমন অভিযোগ গুচ্ছ গুচ্ছ রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের দুটি বোর্ডের আমলেই বেআইনি নির্মান লাগামছাড়া পর্যায়ে পৌছেচে বলে অভিযোগ একাংশ শহরবাসীর।
কিছুদিন আগেই বর্ধমান পুরসভার ভবনে কুম্ভ থেকে জল এনে ছিটিয়ে শুদ্ধকরণ অভিযান করেন রাজ্য কংগ্রেস নেতা গৌরব সমাদ্দার। তিনি সেদিন, অভিযোগ করেন, শহরে অবৈধ নির্মান লাগামছাড়া হয়ে গেছে। মাঝেমাঝে পুরপ্রধান লোক দেখানো অভিযান করেন। এরপর বাজেট অধিবেশনের পর সাংবাদিক সম্মেলনে পুরপ্রধান অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে বলেন,’একদিনে বে-আইনি নির্মাণ বন্ধ হবে না। চোরও থাকবে,পুলিশও থাকবে। বে-আইনি বাড়িও হবে। আবার অভিযানও চলবে।’।