প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৩ ডিসেম্বর : লরিতে করে মাদক দ্রব্য ‘গাঁজা’ পাচার করার দায়ে ভিন রাজ্যের দুই যুবককে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বর্ধমান আদালত । পাশাপাশি আদালত তাঁদের ১ লক্ষ টাকা জরিমানারও নির্দেশ দিয়েছে।জরিমানা অনাদায়ে সাজাপ্রাপ্তদের আরও ৬ মাস কারাবাসে থাকতে হবে।বৃহস্পতিবার বর্ধমানের মাদক সংক্রান্ত বিশেষ আদালতের বিচারক নন্দনদেব বর্মন এই সাজা ঘোষণা করেন । সাজাপ্রাপ্তদের এদিন দাবি করেছেন এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন ।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন গিরি সিংহ ও ইলি শাকওয়া।গিরির বাড়ি অসমের কাছাড় জেলার বরখোলা থানার জরাইতোলায়।অপর ধৃত ইলির বাড়ি মেঘালয়ের রিভোই জেলার খানাপাড়া এলাকায় ।
২০১৬ সালের ১৪ মার্চ জেলার পূর্বস্থলীর বড়ডাঙা মোড়ে এসটিকেকে রোডে ের অভিযানে ধরা পড়া ১৫ কুইন্টল মাদক দ্রব্য “গাঁজাবাহী“ লরির চালক ছিল গিরি সিংহ । আর ওই লরির খালাসি হলেন ইলি শাকওয়া । এই মামলার সরকারি আইনজীবী শিবরাম ঘোষাল বলেন, “৯ জন সাক্ষী এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। প্রচুর “গাঁজা” সহ ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে আদালতে প্রমাণ হয়েছে। তার ভিত্তিতেই বিচারক এই সাজা ঘোষণা করেছেন ।’
আদালতে তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছে, ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ পূর্বস্থলীর বড়ডাঙা মোড়ে এসটিকেকে রোডে ১০ চাকার একটি লরি আটকানো হয় । তল্লাশীতে ওই লরি থেকে প্রচুর পরিমাণে মাদক দ্রব্য “গাঁজা” উদ্ধার হয় । পূর্বস্থলী থানার পুলিশ মাদক দ্রব্য “গাঁজা“পাচারের অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে লরির চালক গিরি সিংহ ও খালাসী ইলি শাকওয়া কে গ্রেফতার করে । লরিটি আটকানোর পরে পূর্বস্থলী ২ ব্লকের যুগ্ম বিডিও-র উপস্থিতিতে ওই মাদক দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয়। আদালতে তদন্তকারী অফিসার জানান , লরির ডালাতে এক প্রকার ‘বাঙ্কার’ তৈরি করে সেখানে ১০০ প্যাকেট গাঁজা রাখা হয়েছিল। প্রতি প্যাকেটে ছিল ১৫ কেজি করে “গাঁজা“ ।“গাঁজা“ পাচারের বিষয়টি সহজে যাতে বোঝা না যায় তার জন্য ট্রাকের ভিতরে এমন ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছিল বলেও তদন্তকারী অফিসার আদালতে জানান। বাজেয়াপ্ত সামগ্রীর নমুনা ফরেন্সিকে পাঠানো হয়।ওই বছরের ১২ জুলাই বাজেয়াপ্ত সামগ্রী ‘গাঁজা’ বলে রিপোর্টে জানানো হয়।সরকারি আইনজীবীর দাবি করেছেন,“মনিপুর থেকে ওই গাঁজা নিয়ে এসে রাস্তায় বিভিন্ন জায়গাতে তা বিক্রি করা হচ্ছিল ।’।