প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৫ ডিসেম্বর : তামা হাতানোর লক্ষ্যে একের পর এক জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের (পিএইচই) পাম্প হাউসের যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে পালাচ্ছিল দুস্কৃতীরা। তদন্তে নেমে পিএইচই তে চুরি চক্রের কিনারা করল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। চক্রের দুই পাণ্ডা সহ চারজনকে জেলার মেমারি থানা এলাকা থেকে পুলিশ পাকড়াও করেছে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শনিবার চার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে।
পুলিশ জানিয়েছে,ধৃতদের নাম সজল মণ্ডল, সোমনাথ বোস,আফজল শেখ ও তাফিজুল। সজল ও সোমনাথ খণ্ডঘোষের শাঁকারির বাসিন্দা। তবে তারা মেমারির সারদাপল্লীতে থাকতে শুরু করেছিল। তারা পিএইচই পাম্পে চুরির পাণ্ডা । পিএইচই-এর যন্ত্রাংশ চুরি করে পাওয়া তামা সজল ও সোমনাথের কাছ থেকে কিনতো অপর দুই ধৃত আফজল ও তাফিজুল । দুই ক্রেতাই মেমারির-১১ নম্বর ওয়ার্ড ও ইছাপুরে এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি সজলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মোট ১৭ টি মামলা রয়েছে। আর সোমনাথের বিরুদ্ধেও নানা ঘটনার ৬ টি মামলা রয়েছে। দু’মাস আগেই তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে ছিল ।পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত চোরেরা একটি পাম্প হাউসে চুরিতে ১০ কেজি তামা খুলে নিয়ে কেজি প্রতি ৬৫০ টাকা দামে বিক্রি করেছিল ।
বর্ধমান দক্ষিণ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) অভিষেক মণ্ডল জানান, সম্প্রতিকালে জেলার বিভিন্ন এলাকা মিলিয়ে ১০ টি পিএইচই পাম্প হাউসে চুরির ঘটনা ঘটেছে। দুস্কৃতীরা পাম্প হাউসের ভিতর থেকে প্রেসার ভালভ ও স্টেবিলাইজারকে নিস্ক্রিয় করে তাদের অপারেশন করত।মূলত পাম্পের যন্ত্রাংশের ভিতরে থাকা দামী তামার তার চুরি করেই তারা চম্পট দিত । এই চুরির ঘটনার কিনারা করার জন্য তদন্তকারী অফিসার ও এসওজি গ্রুপকে নিয়ে একটি টিম গঠন করা হয়।তদন্তে নেমে অফিসাররা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে একটিই গ্যাং এই চক্রে যুক্ত । এই ইনপুটের ভিত্তিতে পুলিশ মেমারিতে অভিযান চালিয়ে প্রথমে একজনকে ধরে । তাকে জেরা করে তদন্তকারীরা আরও তিন জনের বিষয়ে জানতে পারে । সেই তিন জনকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের কাছ থেকে গত ১২ ডিসেম্বর ভাতারের পাম্প হাউস থেকে চুরিকরা কিছু যন্ত্রপাতি এবং কিছু তামার কয়েল উদ্ধার করা হয়েছে।ধৃতদের বাকি পাম্প হাউসে থেকে চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালানো হবে বলে এডিপিও জানিয়েছেন।।