এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তরাখণ্ড,০৫ মে : উত্তরাখণ্ডের খাতিমার পূজা মণ্ডল হত্যা মামলায় পুলিশ প্রশাসন বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। সিতারগঞ্জের গৌরীখেদায় অবস্থিত অভিযুক্ত মুশতাক আহমেদের অবৈধ বাড়িটি ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন। এই বাড়িটি মুশতাকের বাবা আলী আহমেদ অবৈধভাবে উপজাতি শ্রেণীর মথুরা প্রসাদের জমিতে তৈরি করেছিলেন। অভিযানের সময়, বাড়িটি খালি পাওয়া যায় এবং ভিতরে রাখা জিনিসপত্রের একটি তালিকা তৈরি করা হয়।
তদন্তে জানা যায়, গুরুগ্রামের ৩২ বছর বয়সী হিন্দু মহিলা পূজা মণ্ডল, যিনি বিবাহবিচ্ছেদপ্রাপ্ত এবং দুই সন্তানের মা ছিলেন, স্থানীয় একটি স্পা-তে কাজ করতেন এবং প্রায়শই উত্তরাখণ্ডে যেতেন, যেখানে তার মা থাকতেন। একদিন মায়ের বাড়ি যাওয়ার সময়, তিনি অজিত নামে পরিচয় দেওয়া একজন ট্যাক্সি ড্রাইভারের সাথে পরিচয় হয় তার । তাদের নিয়মিত যোগাযোগ এবং অবশেষে শারিরীক সম্পর্ক হয় । ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে, দুজনে লিভ-ইন ব্যবস্থায় থাকতে শুরু করে এবং আইনত নিবন্ধিত না হয়েও বিয়ে করে । কিছুদিন পর অজিত উত্তরাখণ্ডে তার নিজের শহর ফিরে আসে এবং গোপনে অন্য একজন মহিলাকে বিয়ে করে । তখনই পূজা জানতে পারেন যে – অজিত আসলে মুশতাক আহমেদ,যে তার পরিচয় এবং ধর্ম গোপন রেখেছিলেন।
যখন পূজা তার মুখোমুখি হয় এবং তার বাড়িতে হট্টগোল সৃষ্টি করে, তখন তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। তার ঠিক দুই মাস পর, মুশতাক তাকে প্রলুব্ধ করে সিতারগঞ্জের কাছে একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে, সে তাকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে,গলা পেঁচিয়ে কেটে তার মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় । পরে, পূজার বোন নিখোঁজ ডাইরি দায়ের করে, কয়েক মাস পরে, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে, কর্তৃপক্ষ উত্তরাখণ্ড থেকে তার ধড় উদ্ধার করে।
গাড়ির চাকার পাংচার সারানোর কাজ করা মুশতাক আহমেদকে সিতারগঞ্জে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সময়, সে অপরাধ কবুল করে ৷ সে জানায় যে পূজাকে ফাঁদে ফেলার জন্য সে নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিয়েছিল । পূজার ধড় পাওয়া গেলেও, তার মাথা এখনও উদ্ধার করতে পারেনি এবং অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে ।।