এইদিন ওয়েবডেস,জয়পুর,২১ অক্টোবর : রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) কর্মীরা শারদ পূর্ণিমা উপলক্ষে পায়েস বিতরণ কর্মসূচি চালাচ্ছিলেন, তখন নসীব চৌধুরী এবং তার ছেলে ওই কর্মসূচিতে হামলা চালায় ।রাজস্থানের জয়পুরের রজনী বিহার এলাকায় আরএসএস স্বয়ংসেবকদের উপর ছুরি হামলায় ৮ জন আহত হয় ৷ জয়পুরের এসিপি কুনওয়ার রাষ্ট্রদীপ জানিয়েছেন, এই হামলার জন্য নসিব চৌধুরী ও তাঁর ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।প্রশাসন আজমির জেলায় বুলডোজারের ব্যবস্থাও করেছে। কাচারী রোডে গড়ে ওঠা তার দোকানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যেখানে দোকানদারদের বিরুদ্ধে ড্রেন বুজিয়ে দখলের অভিযোগ উঠেছে। উচ্ছেদ অভিযানের সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। জানা গেছে,অভিযুক্ত নসিব চৌধুরীর বেআইনি নির্মাণে জয়পুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (জেডিএ) এই ব্যবস্থা নিয়েছে। একটি মন্দির সংলগ্ন এই অবৈধ নির্মাণ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। জেডিএ আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে নোটিশ দেওয়ার পরেও নসিবের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। এরপর দখলমুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, নসিব চৌধুরী তার বাড়ির পাশে অবস্থিত একটি মন্দিরের জমিতে অবৈধভাবে একটি কক্ষ নির্মাণ করছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে । জয়পুরের কর্নি বিহারে ওই মন্দিরে গত ১৭ অক্টোবর শারদ পূর্ণিমার দিন একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ । সেই সময় সশস্ত্র অবস্থায় নসিব চৌধুরী ও তার ছেলে হামলা চালায় । তাদের কাছে ছুরি ও লাঠি ছিল বলে । হামলায় আটজন স্বেচ্ছাসেবকসহ মোট ১০ জন আহত হয়৷ সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, শারদ পূর্ণিমা উপলক্ষে মন্দিরে জাগরণ অনুষ্ঠান চলছিল। ভক্তদের মধ্যে যখন প্রসাদ বিতরণ করা হচ্ছিল, তখন পাশের বাড়ির বাসিন্দা নসিব চৌধুরী ও তার ছেলে গভীর রাতে অনুষ্ঠান আয়োজনে আপত্তি জানায় । বিবাদ বাড়লে অভিযুক্তরা তাদের সম্প্রদায়ের লোকদের ডেকে নেয়। তারপর হামলা চালায়। পুলিশ আরও জানায়, ‘অভিযুক্ত নসিব চৌধুরী ও তার ছেলেকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’
ঘটনার একটি সিসিটিভি ভিডিও সামনে এসেছে । এতে মন্দিরের ভেতরে কয়েকজনকে বসে থাকতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে একজন নারী ও এক শিশুও রয়েছে। সেই সময় হাতে ছুরি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে নসিব চৌধুরী ও তার ছেলে আসে। তারা পুজোর পায়েসের হাঁড়িতে লাথি মেরে ফেলে দেয়। অনান্যরা তখন দুজনকে বোঝানোর চেষ্টা করে । কিন্তু তারা গালাগালি করতে থাকে। পরে আসামিরা ছুরি নিয়ে হামলা চালায় । আর এখন অভিযুক্তদের অবৈধ নির্মাণ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।।