প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৮ এপ্রিল : পুরীর মন্দিরের আদলে সৈকত নগরী দীঘায় তৈরি
হয়েছে জগন্নাথ মন্দির।বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ৩০ এপ্রিল সেই মন্দিরের উদ্বোধন করবেন। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নাম মুখে না এনে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ সোমবার কটাক্ষ করে বলেন,জগন্নাথ মন্দির করে উনি পাপ খণ্ডন করতে চাইছেন। কিন্তু তা হবে না।জগন্নাথ দেবের হাত নাই। তবে তিনি তার চোখ দিয়ে সব দেখছেন। আজ সোমবার বিকেলে শহর বর্ধমানের লক্ষ্মীপুর মাঠ সংলগ্ন জোড়া মন্দিরের কাছে ‘চায়ে পে চর্চা’য় অংশ নিয়ে দিলীপ ঘোষ এহেন মন্তব্য করেন। দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবু টুডু বলেন,এই কারণেই বর্ধমানবাসী দিলীপ ঘোষকে হেরো নেতা বানিয়ে দিয়েছেন।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর বাংলা সহ বিভিন্ন রাজ্যে
পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা পোড়ানোর হিড়িক পড়েছে। এই বিষয়টি দিলীপ ঘোষের পছন্দ নয়।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,“আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, কোন দেশের পতাকা পোড়ানো উচিত নয়।আমি এটা পছন্দ করি না।কোন দেশের সরকার অশান্তি করলে বা কিছু লোক গণ্ডগোল করলে তারজন্য আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার আছে।নরেন্দ্র মোদি ঠিক সময়ে জবাব দেবেন।কারো কুশপুতুল পোড়ানো আমরা এটি করি না।আমি দেখেছি এরাজ্যের মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুল পোড়াচ্ছে।
বাংলার শিক্ষকদের রাজপথে আন্দোলন ধর্না,অবস্থান,বিক্ষোভ নিয়ে তিনি বলেন,“যাঁদের ক্লাস রুমে শিক্ষাদানের কাজ ,তাঁরা আজ রাস্তায় বসে রয়েছেন, এতেই বোঝা যায় এ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা কোথায় পৌঁছেছে। তিনি বলেন, “বাতিল হওয়া ৮০০০ অযোগ্য শিক্ষকদের মদত করতে গিয়ে তিনি ১৮ হাজার যোগ্য শিক্ষককে বলি দিলেন। এতে প্রমাণ হয় দুর্নীতি সরকার করেছে।“
অশিক্ষক কর্মচারী এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীদের জন্য ভাতা নিয়ে দিলীপ বলেন,’কোথা থেকে দিদিমনি এ টাকা দিচ্ছেন? দান ভর্তুকিতে রাজ্য চলে না, কল কারখানা তৈরি করে লোকেদের কাজ দিতে হবে।শিক্ষকরা ক্লাস ছেড়ে রাস্তায় বসে আছেন।অন্যদিকে হিন্দুরা নিজের জেলা ছেড়ে অন্য জেলায় পড়ে আছেন। এদিকেও হাহাকার ওদিকেও হাহাকার।’বিবাহিত জীবন কেমন কাটছে জিজ্ঞেস করা হলে দিলীপ ঘোষ জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা সহ দলীয় নেতাদের দেখিয়ে বলেন, এদের যেমন কাটছে তেমনি আমারও কাটছে।।