এইদিন ওয়েবডেস্ক,কোচবিহার,১৬ জানুয়ারী : কোচবিহারে অনুপ্রবেশ রুখতে বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় মদের বোতল ঝুলিয়ে দিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টা নাগাদ বাংলাদেশের দহগ্রাম সীমান্তের সরকারপাড়া এলাকার বাংলাদেশ-ভারত প্রধান ৪১ নম্বর পিলার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া বরাবর খালি কাচের বোতল ও মদের বোতল ঝুলিয়ে দেয় বিএসএফ । বাংলাদেশের অভিযোগ, সীমান্তে শূন্যরেখার দুই কিলোমিটার জায়গায় বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার ছয়দিন পর এমন কাণ্ডে বিজিবি বাধা দিলেও তারা উপেক্ষা করে মদের বোতল ঝোলাতে থাকে। এতে আশপাশের বাংলাদেশি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোচবিহারের ৬ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের করুণ ক্যাম্পের বিএসএফের ১০ থেকে ১২ জন সদস্য শূন্যরেখায় নির্মিত কাঁটাতারের বেড়ার কাছে আসে। সেই সময় তারা ডিএমপি ৮ নম্বরের উপপিলার ৩৮ থেকে ৪৬ নম্বরের শূন্যরেখায় নির্মিত বেড়ার প্রায় এক কিলোমিটার অংশের তারগুলোতে ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি মাপের বোতলগুলো গুণা দিয়ে বেধে ঝুলিয়ে দিতে থাকে।স্থানীয়রা বিষয়টি দেখে বিজিবিকে খবর দেয়। দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা ক্যাম্পের টহল দলের বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে বোতল ঝুলাতে বিএসএফকে নিষেধ করে। বিএসএফ নিষেধ না মেনে তাদের কার্যক্রম চালাতে থাকে এবং কাজ শেষ করে চলে যায়।
দহগ্রাম সরকারপাড়া এলাকার কৃষক জমশের আলী বলেন, আমরা মাঠে কৃষিকাজ করি এর মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে। বেড়া দেওয়ার পর থেকে বিএসএফ টহল বাড়িয়েছে। এখন আমাদের দাবি এই এলাকায় তিনটি বিজিবি ক্যাম্প স্থাপন ও টহল বাড়ানো হলে আমাদের আতঙ্ক কাটবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫১ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম আলদীন বলেন, এটি নতুন কোনো স্থাপনা নয়। বেড়াটি প্রটেকশনের জন্যই তারা বোতল ঝুলিয়েছে। যদি কেউ রাতের আঁধারে বেড়া তুলে নিয়ে যায় সেজন্য তারা(বিএসএফ) শূন্যরেখায় বেড়া দিয়ে নিজেই টেনশনে আছেন। এজন্য তারা এই প্রটেকশনটি ব্যবহার করেছেন।’।