এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১২ সেপ্টেম্বর : ভাতারের ওড়গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে সুলতানা বেগম(৩৩) নামে এক গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় মৃতার দেওরকে গ্রেফতার করল পুলিশ ৷ ধৃত ব্যক্তির নাম খুরশেদ আলম খান । সোমবার রাতে এলাকা থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয় । আজ মঙ্গলবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয়েছে । এই ঘটনায় অন্য অভিযুক্ত মৃতার স্বামী নওসের আলম খান, ননদ সাহনাজ খান এবং ননদের স্বামী মনিরুদ্দিন খানের এখনো কোনো হদিশ নেই । পুলিশ তাদের সন্ধান চালাচ্ছে ।
শনিবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতে গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হন সুলতানা বেগম । বধূর শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীরা বর্ধমান শহরের নতুনগঞ্জে তার বাপের বাড়িতে ফোন করে ঘটনার কথা জানায় । এরপর বাপের বাড়ির লোকজন ওড়গ্রামে এসে সুলতানা বেগমকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে । কিন্তু বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয় । এই ঘটনায় বধূর স্বামী নওসের আলম খান, দেওর খুরসেদ আলম খান, ননদ সাহনাজ খান এবং ননদের স্বামী মনিরুদ্দিন খানের বিরুদ্ধে ভাতার থানায় একটা এফ আই আর রজু করেন মৃতার ভাই শেখ আসলাম উদ্দিন । তার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তার দিদির ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল সুলতানার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন । মাস চারেক আগে সুলতানাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে একটা হাতও ভেঙে দেওয়া হয়েছিল ।
যদিও অভিযোগ দায়ের হতেই এলাকা থেকে চম্পট দেয় চার অভিযুক্ত । অবশেষে সোমবার রাতে খবর পেয়ে মৃতার দেওর খুরশেদ আলম খানকে এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।।