এইদিন ওয়েবডেস্ক,লন্ডন,১৩ এপ্রিল : ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র সচিব সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানের ‘শিশু গ্রুমিং পাকিস্তানি গ্যাং’ মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি তুললো ব্রিটিশ মুসলিম গোষ্ঠীগুলি । তারা ব্র্যাভারম্যানের এই বক্তব্যকে ‘জাতিগতভাবে অভিযুক্ত বক্তৃতা’ বলে অবিহিত করেছে । গত সপ্তাহে স্কাই নিউজকে সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান বলেছিলেন যে ব্রিটিশ পাকিস্তানি পুরুষরা শ্বেতাঙ্গ যুবতী ও কিশোরীদের অনুসরণ করে, ধর্ষণ করে, মাদক দিয়ে তাদের ক্ষতি করে । তিনি বলেছিলেন যে এই ব্যক্তিরা অন্যান্য ব্রিটিশদের সাথে “বিরোধপূর্ণ” মূল্যবোধ রাখে ।
আর এর পরেই ব্রিটিশ-পাকিস্থানিদের মধ্যে এনিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় । তারা এই বক্তব্যকে ‘জাতিগতভাবে বিদ্বেষমূলক’ বলে অভিযোগ তোলে । ব্রিটিশ পাকিস্তানি সাইকিয়াট্রিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ডঃ শহীদ লতিফ ব্র্যাভারম্যানের নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কাছে একটি যৌথ চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন । তিনি বলেছেন,’আমরা চাই এই বিবৃতি অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক।’ তিনি বলেন,’বক্তব্য প্রত্যাহার ছাড়া বিকল্প কোন রাস্তা নেই এবং প্রধানমন্ত্রীকে এই মন্তব্যগুলি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে,নিজেকে আলাদা করতে হবে, তাকে অবশ্যই বুঝতে হবে এই মন্তব্যগুলি সমাজে বৈষম্য সৃষ্টি করা ছাড়া আর কিছুই করে না ।’
এদিকে ব্রিটিশ পাকিস্তানিদের কড়া প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ব্রাভারম্যানের বক্তব্যকেই সমর্থন করেছেন । সুনাক বলেন, রচডেল, রদারহ্যাম এবং টেলফোর্ডে ব্রিটিশ পাকিস্তানিদের নিয়ে গঠিত গ্রুমিং গ্যাং সম্পর্কে অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে শিকারদের উপেক্ষা করা হয়েছিল ।
প্রসঙ্গত,ব্রিটেনের রদারহ্যাম, টেলফোর্ড, ওল্ডহ্যাম এবং নিউক্যাসল সহ উত্তর ইংল্যান্ডের শহরগুলিতে বেশ কয়েকটি হাই-প্রোফাইল শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত পুরুষদেরকে যুবতী মেয়েদের পরিকল্পিতভাবে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছিল । যদিও ২০২০ সালের ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অফিসের একটি প্রতিবেদনে উপসংহারে বলা হয়েছে যে যুক্তরাজ্যে শিশু শোষণের ক্ষেত্রে কোনো একটি নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠী জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ নেই । কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই যুক্তরাজ্যে সংগঠিত অপরাধের ক্ষেত্রে সুনাকের সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে শুরু করেছে ।।