এইদিন ওয়েবডেস্ক,লন্ডন,০৯ ফেব্রুয়ারী : ভারত বিরোধী বলে পরিচিত ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির কদর্য মানসিকতা ফের একবার প্রকাশ্যে এল । ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার উপর নির্মিত সাম্প্রতিক একটি তথ্যচিত্রে দাঙ্গার পুরো দায় চাপিয়ে দিয়েছিল বিবিসি । তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে ৷ আর সেই বিতর্কের অবসান হতে না হতেই ফের একটা নতুন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে ওই ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি । এবার কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসআইএস-এর জঙ্গি শামীমা বেগমকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র “দ্য সামিমা বেগম স্টোরি”তে তাকে একজন সেলিব্রেটি হিসাবে দেখানো হয়েছে । তবে বিবিসির এই সন্ত্রাসবাদ প্রেম ভালো চোখে দেখছে না ব্রিটিশ নাগরিকরা । অনেকে বিবিসির লাইসেন্স না নেওয়ার কথা বলতে শুরু করে দিয়েছেন । উল্লেখ্য,যুক্তরাজ্যে টিভিতে বিবিসির অনুষ্ঠান দেখতে বার্ষিক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হয় । সেক্ষেত্রে দর্শকরা যদি সাবস্ক্রাইব না করে তাহলে সংবাদ মাধ্যমটি যে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে তা বলাই বাহুল্য ।
বিবিসি শামীমা বেগমের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩) রাতে প্রকাশ করেছে বিবিসি। ওই মহিলা স্বেচ্ছায় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসআইএস-এ যোগ দিয়েছিলেন । যে কারনে তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে । বর্তমানে উত্তর সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে কাটছে ওই মহিলার জীবন ।
শামীমা বেগম বিবিসিকে বলেছেন,’আমি আইএসআইএসের প্রেমে পড়েছিলাম এবং ওই সংগঠনে যোগ দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলাম । আমি প্রথমে গ্যাটউইক থেকে ইস্তাম্বুলে উড়ে যাই । সেখানে একজন আইএসআইএস হ্যান্ডলার বাস নিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছিল। আমি যখন দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলাম, তখন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সাথে জড়িত ‘নৃশংসতা’ সম্পর্কে জানতাম না ।’
তিনি বলেছেন,আইএসআইএসের ভয়ঙ্কর ভিডিও দেখার পরে তার মন পরিবর্তন হয় । তিনি এখন যুক্তরাজ্যে ফিরে যেতে চান এবং তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন । বেগম বলেন,’আমি উত্তর সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে থাকি। এটা কারাগারের চেয়েও খারাপ । আমি নিজেকে গভীরভাবে ঘৃণা করি ।জেলের সাজা এক সময়ে শেষ হয়,কিন্তু এখানে আপনি জানেন না এটি শেষ হবে কি না ।’
অনেকের মতে এই তথ্যচিত্রের মাধ্যমে ব্রিটিশ নাগরিকদের ‘ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল’ করে ওই সন্ত্রাসবাদীকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য হাওয়া তোলার চেষ্টা করছে বিবিসি । কিন্তু তার পরিবর্তে ব্রিটিশ জুড়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে । সাংবাদিক অ্যান্ড্রু ডুরি বিবিসির আইএসআইএস ব্রাইড ডকুমেন্টারি ‘দ্য শামীমা বেগম স্টোরী’ সম্পর্কে বলেছেন,’আমি জানি সে কতটা নিরর্থক, এখন সে সেলিব্রেটি হয়ে উঠেছে, সে এটাই হতে চেয়েছিল ।’
একজন ব্যবহারকারী টুইট করেছেন,’শামীমা বেগম কি কাহানি রাত ৯ টায় বিবিসিতে… আমি সেই ময়লার স্তূপ দেখতে পারব না । যখন সে সেখানে গেল তখন সে জানত না সে কি করছে ? অবাক করার বিষয়, বিবিসি এটাকে এয়ারটাইম দিচ্ছে ।’।