এইদিন ওয়েবডেস্ক,লন্ডন,০৭ জানুয়ারী : এক ব্রিটিশ ব্যক্তির ১২ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল একজন পাকিস্তানি মুসলিম যুবক । আর এই প্রকার ঘৃণ্য আচরণে মেয়েটির বাবা এতটাই ক্ষুব্ধ হন যে তিনি অভিযুক্ত যুবকের দিকে নিজের জোড়া পোষ্য ডোবারম্যান কুকুরকে লেলিয়ে দেন । সেই দৃশ্য নিজের মোবাইল ক্যামেরায় রেকর্ড করে রাখেন ওই ব্রিটিশ ব্যক্তি । ভিডিওটি রিয়েল ক্রেজি ক্লিপস পরে ভাইরাল করে দেয় । প্রবাসী পাকিস্তানি ফারাজ পারভেজ সেটি এক্স-এ শেয়ার করেছেন এবং লিখেছেন,’এই মুসলিম ব্যক্তি ধর্ষণের মতলবে ১২ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ মেয়ের সাথে ভাব করে, পরিবর্তে মেয়েটির বাবা এবং তার কুকুরের সাথে সে দেখা করে । অনুগ্রহ করে পুনরায় পোস্ট করুন। ইংল্যান্ডে পাকিস্তানি রেপ গ্যাং।’
ভিডিওতে দেখা গেছে,ব্রিটিশ ব্যক্তি “গো” বলে ছেড়ে দিতেই একটা কালো রঙের হৃষ্টপুষ্ট কুকুর ওই পাকিস্তানি যুবকের উপর হামলা চালায় । যুবক মাটিতে পরে গেলে কুকুরটি তাকে এলোপাথাড়ি কামড়াতে শুরু করে । পাকিস্তানি যুবক ব্রিটিশ ব্যক্তিকে বলে,’দয়া করে থামান…দয়া করে থামান… দয়া করে থামান ।’ উত্তরে ব্রিটিশ ব্যক্তি বলেন,’কেন থামাবো ?’ ইতিমধ্যে আরও একটা কালো রঙের হৃষ্টপুষ্ট কুকুরকে তিনি লেলিয়ে দিয়ে বলেন,’খেয়ে ফেল ওকে৷’ অভিযুক্ত যুবক কাতরভাবে বলে,’হে আল্লাহ’…থামান ওদের ।’ ব্রিটিশ ব্যক্তি তাকে ‘ছাগল’ ও ‘গরু’ বলে সম্বোধন করেন এবং নিজের দুই পোষ্য কুকুরকে ‘ভালো ছেলে’ বলে প্রশংসাও করেন। তবে জোড়া কুকুরের হামলার পরবর্তী মুহুর্তের ভিডিও তিনি রেকর্ড করেননি এবং আক্রান্ত পাকিস্তানি যুবকের শেষ পরিণতি কি হয়েছিল তা জানা যায়নি ।
প্রসঙ্গত,পাকিস্তানসহ বিভিন্ন ইসলামি দেশ থেকে আসা শরণার্থীরা ইউরোপীয় দেশের মাথাব্যথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে । দেশগুলিতে ব্যাপক হারে বেড়েছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড । বিশেষ করে অল্প বয়সী মেয়েদের ধর্ষণের ঘটনা ব্যাপক হারে বেড়েছে । আর অভিযুক্তদের সিংহভাগই হল মুশলিম শরণার্থী । বিশেষ করে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকার সুযোগে ব্রিটিশ মেয়েরা নিরন্তর শরণার্থীদের এই প্রকার পাশবিকতার শিকার হচ্ছে । যে কারনে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন বর্তমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। তিনি একসময় একজন প্রগতিশীল ও ন্যায়পরায়ণ নেতা হিসেবে সমাদৃত ছিলেন। যাইহোক, আজ, কিয়ের স্টারমার এখন গ্রুমিং গ্যাংগুলির বিরুদ্ধে তার নিষ্ক্রিয়তা জড়িত একটি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছেন। এই গ্যাংগুলি, প্রধানত পাকিস্তানি সুন্নি মুসলিম বংশোদ্ভূত,বিগত ২৪ বছরে যুক্তরাজ্য জুড়ে আনুমানিক ২,৫০,০০০ অল্প বয়সী মেয়েদের শিকার করেছে বলে খবর ।
একজন ব্রিটিশ তরুনী এক্স-এ লিখেছেন,ব্রিটিশ সরকার এবং কর্তৃপক্ষ কয়েক দশক ধরে ছোট মেয়েদের পদ্ধতিগত ধর্ষণ ও নির্যাতনের প্রতি অন্ধ দৃষ্টি রেখেছে। তবুও, যখনই সারাদেশে পাকিস্তানি গ্রুমিং গ্যাংদের প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়, তখন তারা অতি ডানপন্থী এবং বর্ণবাদ নিয়ে চিৎকার করে। ব্রিটিশরা লক্ষ্য করে যে দক্ষিণ এশীয় গ্রুমিং গ্যাংগুলি কিভাবে আমাদের দেশের ছোট মেয়েদের ধর্ষণ, নির্যাতন এবং হত্যার জন্য দায়ী, যখন ক্ষমতায় থাকা লোকেরা কিছু করতে অস্বীকার করে কারণ তারা বর্ণবাদী বলাকে ভয় পায়। আমাদের সরকার ও কর্তৃপক্ষের কাপুরুষতা পীড়াদায়ক।’
প্রসঙ্গত, গ্রুমিং মানে অল্পবয়সী মেয়েদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং তাদের আর্থিক ও যৌন নির্যাতনের জন্য ষড়যন্ত্র করা। ব্রিটেন একটি উন্মুক্ত এবং আধুনিক দেশ ছিল। মেয়েরা অপরিচিতদের সাথে কথা বলার জন্য উন্মুক্ত ছিল কারণ মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ছিল । আর তাদের এই মানসিকতার সুযোগ নিয়েছে পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ ইসলামি দেশগুলির শরণার্থীরা । বিশেষ করে পাকিস্তানিদের মধ্যে অপরাধ প্রবণ মানসিকতা বেশি ।
ব্রিটেনের গ্রুমিং গ্যাং কেস ভারতের লাভ জেহাদের মতোই। একটা রিপোর্ট অনুযায়ী,৯০ এর দশক থেকে পাকিস্থানি এমএসএলএম গোষ্ঠী প্রায় ৫ লাখ ব্রিটিশ কিশোরীকে যৌন শোষণ করেছে এবং এই শোষণ এখনো সমানে চলছে । পাকিস্তানি মুসলিম পুরুষরা
ব্রিটেনের ধর্মনিরপেক্ষতার এর সুবিধা নিয়ে ব্রিটিশ স্কুলের মেয়েদের শিকার করা শুরু করে কারণ তাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলা সহজ । মুসলিমরা তাদের বন্ধু বানায়, তাদের ড্রাগের নেশা করায় এব তাদের ধর্ষণ করে । এটি হয়তো খুব কম লোকের দ্বারা শুরু হয়েছিল কিন্তু তারপরে অনেক ছেলেই এই প্রকার পদ্ধতি শুরু করেছিল। তাদের অপরাধ শুধুমাত্র যৌন অপরাধের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। অনেক নির্যাতিতা সাক্ষ্য দিয়েছে যে অভিযুক্তরা তাদের নৃশংসভাবে মারধর করত,অকথ্য ভাষায় তাদের গালাগালি করত, তাদের কাফের বলত। তারা বলত যে তাদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী একটি কাফের মেয়েকে যৌন নির্যাতন করা সম্পূর্ণ বৈধ । আর ব্রিটিশ মেয়েদের তারা কাফের বলে কারন তারা পুরো কাপড় পরে না । এমনকি এই প্রকার মেয়েদের সাথে গালাগালি করা সম্পূর্ণ বৈধ বলেও মন্তব্য করত তারা । তাই তাদের এই অপরাধের পিছনে ধর্মীয় এবং যৌন উভয় দিকই রয়েছে ।
‘রাজনৈতিক শুদ্ধতা’ শব্দটি ইউরোপ এবং আমেরিকায় ব্যবহৃত হয়। এটি ভারতের ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ বা ‘লিবারেল প্রিভিলেজ’ শব্দের সাথে খুব মিল । ভারতে যেমন কেউ মুসলিমের বিরুদ্ধে কথা বললে তাকে সাম্প্রদায়িক বলা হয় ঠিক তেমনি সেখানে কেউ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বললে ইসলামফোবিক আখ্যা দেওয়া হয় । যেকারণে লক্ষাধিক বৃটিশ মেয়ে ধর্ষিতা হলেও সরকার, মিডিয়া এবং পুলিশ সেই ধর্ষক মুসলিমকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। কারণ কেউ রাজনৈতিকভাবে ভুল দেখতে চায় না। ফলে খুব কম লোকই শাস্তি পেয়েছে বা নামমাত্র শাস্তি ভোগ করে ধর্ষকরা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচভহে ।
রাজস্থানের আজমি শরিফে ১৯৯২ সালের মামলায়ও শতাধিক হিন্দু মেয়ের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছে । আজমি শরিফের ১৯৯০-৯২ সালের ঘটনা হুবহু ব্রিটেনের গ্রুমিং গ্যাং কেসের মতন। তখন রাজ্যের শাসনক্ষমতা কথিত ধর্মনিরপেক্ষ কংগ্রসের হাতে । যেখানে ১০-১৫ জন মুসলিম (আজমির দরগাহের সঙ্গে যুক্ত) ৩০০-৫০০ হিন্দু মেয়েকে ব্লাকমেলিং করে গনধর্ষণ করে। এবং তাদের বেশিরভাগকে খুব কম শাস্তি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে কংগ্রেসের সময়ে এই ধরনের অপরাধ লালিত পালিত হলেও, ব্রিটেনে গ্রুমিং গ্যাং নিয়ে প্রথম মুখ খোলেন প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তিনি পুলিশের একটি অ্যান্টি গ্রুমিং টাস্ক ফোর্স গঠন করেন ।
সম্ভবত এই গ্যাংগুলি ভারতেও সক্রিয় রয়েছে এবং বড় পরিসরে কাজ করছে। আমরা তাকে লাভ জেহাদ এবং স্থানীয় এমএসএলএম, বাংলাদেশী অভিবাসী, রোহিঙ্গারা বলে ডাকি। গ্রুমিং গ্যাং থেকে লাভ জেহাদ আরও ভয়ঙ্কর। কারণ তারা নিজেদের পরিচয় গোপন করে। তারা সব বয়সী মহিলাদের টার্গেট করে, জোর করে ধর্মান্তরিত করে । তারা এমনকি তাদের হত্যা পর্যন্ত করে । এখন প্রশ্ন হল যে কখন বাম তথাকথিত উদারপন্থীরা এই গ্রুমিং গ্যাংয়ের অস্তিত্বকে মেনে নেবে ? হয়ত ভোটব্যাংক হারানোর ভয়ে একটা অমুসলিম দেশ সম্পূর্ণ ইসলিম রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ না করা পর্যন্ত তারা এই প্রকার ভন্ডামি চালিয়ে যাবে ।।