এইদিন ওয়েবডেস্ক,মরবি(গুজরাট),০২ নভেম্বর : গুজরাটের মরবির ঝুলন্ত সেতু সংস্কারে বড়সড় দূর্নীতি সামনে এল এফএসএলের তদন্তে । তদন্তকারী দল জানতে পেরেছে সেতু সংস্কারের সময় তারের পরিবর্তনই করা হয়নি । শুধুমাত্র মেঝে এবং নীচের টাইলিং পরিবর্তন করা করা হয়েছিল । আর ওই অবস্থাতেই সেতুটি ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয় । এদিকে সেতু দুর্ঘটনায় ধৃত ৯ আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী মামলা লড়বেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে মরবি আইনজীবী সমিতি ।
মরবির ঝুলন্ত সেতুটি ছিল কাঠ ও তার দিয়ে তৈরি । মঙ্গলবার এফএসএলের একটি দল ঘটনাস্থলে তদন্তে যায় । তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে সেতুতে লাগানো তারের নমুনা সংগ্রহ করে আনে । তারের পরীক্ষা করে তদন্তকারী দল জানতে পারে সেগুলি আদপেই পরিবর্তন করা হয়নি,শুধু কাঠের পাটাতনের পরিবর্তন করা হয়েছিল মাত্র । এমনকি রক্ষণাবেক্ষণের অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও ওরেওয়া কোম্পানিকে চুক্তি দেওয়া হয় বলে জানতে পারে তদন্তকারী দল । সেতুটি কতজন মানুষের ভার সহ্য করতে সক্ষম হবে তার তথ্যও সংস্থার কাছে নেই । সেতুটির স্ট্রাকচারাল অডিটও কখনও করা হয়নি । স্থানীয়দের অভিযোগ, এই দূর্নীতিতে পুরোপুরি জড়িয়ে আছে মরবি পুরসভা ।
এদিকে এই ঘটনায় এযাবৎ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । যার মধ্যে রয়েছে ২ জন ব্যবস্থাপক, ২ জন মেরামতকারী ঠিকাদার পিতা-পুত্র, ৩ জন নিরাপত্তারক্ষী, ২ জন টিকিট কেরানী । মরবি আইনজীবী সমিতি সাফ জানিয়ে দিয়েছে তাঁরা ধৃতদের পক্ষে মামলা লড়বেন না । স্থানীয় আইনজীবী সংগঠনের এই সিদ্ধান্তের কারনে জেলার বাইরে থেকে আইনজীবীর সহায়তা নেওয়ার চেষ্টা করছে প্রশাসন। যেখানে আসামিদের পক্ষে সুরেন্দ্রনগরের এক আইনজীবীর সহায়তা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে ।
অন্যদিকে গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন যে সেতু মেরামতের জন্য দায়ী সংস্থার বিরুদ্ধে ৩০৪,৩০৮ এবং ১১৪ ধারায় একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে । ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন ।।