এইদিন ওয়েবডেস্ক,জম্মু-কাশ্মীর,১০ মার্চ : ডাক্তারি পড়ার সময় দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । হোলির দিন প্রেমিকের বাড়িতে গিয়েছিল প্রেমিকা । সেই সময় দু’জনের মধ্যে কোন বিষয় নিয়ে বচসা বাধে । আর বচসার মাঝে বাড়ির রান্নাঘর থেকে একটি ছুরি নিয়ে এসে প্রেমিকার পেটে আমূল বসিয়ে দেয় প্রেমিক । ঘটনাটি ঘটেছে জম্মুর জনিপুরের (Janipur) পাম্পোশ কলোনি এলাকায় । অভিযুক্ত যুবক হল পাম্পোশ কলোনির বাসিন্দা মেহমুদ গণির (Mehmood Ganai) ছেলে জওহর মাহমুদ গণি (Johar Mahemud Ganai) । নিহত তরুনী ২৬ বছর বয়সী ডক্টর সুমেধা শর্মা (Dr Sumedha Sharma) জম্মুর তালাব তিলোর (Talab Tillo) বাসিন্দা কমল কিশোর শর্মার (Kamal Kishore Sharma) মেয়ে ।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী,গত ৮ মার্চ সন্ধ্যায় প্রেমিকাকে হত্যার পর জওহর আত্মহত্যা করার কথা বলে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন । ওই পোস্টে তিনি জীবনের প্রতি বিরক্ত হয়ে আত্মহত্যার করার কথা লিখেছিলেন । কিন্তু জওহরের ফেসবুক পোস্টটি তার কোনো আত্মীয়ের নজরে পড়ে যায় । তিনিই পুলিশকে ফোন করে ঘটনার কথা জানান । এরপর পুলিশ জোহরের বাড়িতে পৌঁছলে বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ দেখতে পায় । শেষে পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে সুমেধাকে রক্তাক্ত এবং জওহরকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে । দুজনকেই তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সুমেধাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । জওহর মাহমুদ গণি বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ।
প্রতিবেদনে জানা গেছে,সুমেধা শর্মা ও জওহর মাহমুদ গণি জম্মুর ডেন্টাল কলেজ সেওহরা থেকে তাদের বিডিএস করেছিলেন । তখন থেকেই সুমেধার সঙ্গে জওহরের পরিচয় থেকে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে । বিডিএস শেষ করে দিল্লিতে এমডিএস পড়ছিলেন সুমেধা । হোলি উপলক্ষে তিনি জম্মুতে ফিরে ফিরে আসেন । কিন্তু বাড়ি না গিয়ে সরাসরি প্রেমিক জওহরের পাম্পোশ কলোনির বাড়িতে চলে যান সুমেধা । রাতের দিকে দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হলে প্রেমিকের হাতে বেঘোরে প্রাণ যায় তাঁর । অভিযুক্ত জওহর মাহমুদ গণির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) মামলা নথিভুক্ত করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।।