দিব্যেন্দু রায়,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),১৯ এপ্রিল : নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মান হচ্ছে সীমানাপ্রাচীর, রাতের অন্ধকারে চুরি হয়ে যাচ্ছে লোহার সামগ্রী-প্রভৃতি একরাশ অভিযোগ তুলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন আউশগ্রামের পাণ্ডুক গ্রামের পাণ্ডুরাজা প্রত্ন গবেষণাকেন্দ্রের সম্পাদক রাধামাধব মণ্ডল । তাঁর অভিযোগ,’পাণ্ডুরাজার ঢিবিকে ঘিরে যে সীমানা প্রাচীর নির্মান করা হচ্ছে তাতে ব্যপক অনিয়ম হচ্ছে । একে তো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছে তার উপর পুরনো সীমানা প্রাচীরের ভিতের অংশ না ভেঙেই তার উপর থেকে নির্মান কাজ করা হচ্ছে । ফলে নির্মানের অব্যবহিত পরেই প্রাচীরে ফাটল ধরছে । এদিকে আবার প্রাচীরের প্লাস্টারের কাজ শেষ হতেই রঙ করে দেওয়া হচ্ছে ।’ এভাবে কাজ হলে অল্প দিনের মধ্যেই প্রাচীর ভেঙে পড়বে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন ।
পাশাপাশি পুরাতাত্ত্বিক বিভাগেরই এক কর্মীর বিরুদ্ধে রাতের অন্ধকারে পুরনো লোহার সামগ্রী পাচারের অভিযোগ তুলেছেন রাধামাধববাবু । তিনি বলেন,’পুরনো সীমানা প্রাচীরে যে সমস্ত লোহার গ্রিল,আ্যঙ্গেল লাগানো ছিল রাতের অন্ধকারে তা তুলে নিয়ে গিয়ে বীরভূমের ইলামবাজারে ভাঙাচোরার দরে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে । আর এতে জড়িয়ে রয়েছেন পুরাতাত্ত্বিক বিভাগেরই এক কর্মী ।’ তিনি জানান,আউশগ্রাম-২ বিডিও, জেলা প্রশাসন,ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক বিভাগের কাছে এনিয়ে সবিস্তারে জানিয়েছেন ।
প্রসঙ্গত,আউশগ্রাম ২ ব্লকের রামনগর পঞ্চায়েতের পাণ্ডুক গ্রামের কাছে অজয়নদের অদুরেই রয়েছে পাণ্ডুরাজার ঢিবি । নামে ঢিবি হলেও আদপে এটি বিশাল আকৃতির একটি ডাঙ্গা । ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েক দফায় পাণ্ডুরাজার ঢিবিতে খনন কার্য চালিয়েছিল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ । উদ্ধার হয়েছিল ঐতিহাসিক ও প্রাগৈতিহাসিক যুগের প্রচুর নিদর্শন । বর্তমানে সেগুলি পুরাতত্ত্ব বিভাগের সংগ্রহ শালায় রক্ষিত আছে ।।