এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাটপাড়া(উত্তর ২৪ পরগণা),২৮ আগস্ট : আজ বুধবার বনধের দিন উত্তর ২৪ পরগণা জেলার ভাটপাড়ায় এক বিজেপি নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে । বিজেপি নেতা অর্জুন সিং এই ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ৷ পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি এই ঘটনায় এনআইএকে দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন৷ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি পোস্ট করে অর্জুন সিং লিখেছেন, ‘আজ সকালে,তৃণমূলের নেতাদের দ্বারা মদদপুষ্ট অপরাধীরা বিজেপি কর্মী প্রিয়ঙ্গু পান্ডের এসইউভি গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়েছে এবং গুলি ছুড়েছে, যখন সে একটি পার্টি প্রোগ্রামের জন্য আমার অফিসে যাচ্ছিল। সৌভাগ্যবশত, প্রিয়াঙ্গু কোনো আঘাত পাননি তবে তার চালক রবি ভার্মা এবং দলের আরেক কর্মী রবি সিং বুলেটে আহত হয়েছেন। রবি সিংয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং তাকে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। অপরাধী এবং ভাটপাড়া শহর পুলিশের যোগসাজশে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করা হয়েছে। আমি তৃণমূল নেতাদের রাজনৈতিকভাবে লড়াই করার পরামর্শ দিচ্ছি, এই ধরনের কাপুরুষোচিত আক্রমণে না জড়াতে। হামলাকারী, ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমি এই হামলার এনআইএ তদন্তের জন্য দোষীদের ধরতে অনুরোধ করছি।’
জানা গেছে,আজ বুধবার সকালে সাড়ে ন’টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। প্রিয়ঙ্গু পান্ডে নিজের গাড়িতে চড়ে অর্জুন সিং-এর বাড়ি যাচ্ছিলেন । প্রিয়ঙ্গু, বিজেপি নেতা রবি সিংহ এবং চালক মিলে তিনজন গাড়িতে ছিলেন । অর্জুন সিংয়ের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, ধীর গতিতে চলছিল প্রিয়ঙ্গু পান্ডের গাড়ি । সেই সময় রাস্তার ডান দিকে বেশ কিছু লোকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে ৷ সেই ভিড়ের মধ্য থেকে হঠাৎ কেউ গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালালে চালকের কপাল ঘেঁষে গুলি বেরিয়ে যায় । গুলি লেগে আহত হন দুই বিজেপি নেতা । তাদের ব্যারাকপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও পরে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিং ৷ তিনি জানান,অন্তত ছ’রাউন্ড গুলি চলেছে এবং সাত-আটটা বোমা পড়েছে।’ এই ঘটনার পর পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন তিনি । এদিকে ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায় । বিজেপি এবং তৃণমূলের লোকজন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেলে পরিস্থিতি ভীষণ ঘোরালো হয়ে ওঠে ৷ পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ।।