এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাঙড়(দক্ষিণ ২৪ পরগনা),২৪ মে : পশ্চিমবঙ্গে অব্যাহত বিস্ফোরণের ঘটনা ।।দিন দুয়েক আগেই বীরভূমের দুবরাজপুরে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে । তার জের মিটতে না মিটতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার ভাঙড়ে (Bhangar) এক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীর বাড়িতে মজুত বোমায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ । মঙ্গলবার কাশীপুর থানার অন্তর্গত চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের গানের আইট গ্রামে শরিফুল মোল্লা নামে ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে । বিস্ফোরণে তীব্রতা এতটাই ছিল যে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে । উড়ে যায় শরিফুলের বাড়ির ছাদের একাংশ । এই ঘটনায় ওই তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী রোশনা বিবি আহত হয়েছে । মহিলার দেহের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে খবর । স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার । খবর পেয়ে বিস্ফোরণ স্থলে ছুটে আসে কাশীপুর থানার পুলিশবাহিনী । যদিও বাড়িতে বোমা মজুত রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শরিফুল মোল্লা । তার দাবি কয়েকজন আইএসএফ কর্মী তার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুড়লে এই ঘটনাটি ঘটে । যদিও আইএসএফের তরফ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে
এদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা বজবজে বিস্ফোরণের পর পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে মঙ্গলবার লিখেছেন,’এগরার সাহাড়া অঞ্চলের খাদিকুলে, যেখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেখানকার নিরীহ গ্রামবাসীদের উপর পুলিশের অত্যাচার অব্যাহত। গোটা গ্রাম পুরুষ শূন্য। শুধু তাই নয়, ঘটনার দিন এগরার আইসি কে যারা হেনস্থা করেছিল, পুলিশ তাঁদের না ধরে নিরপরাধ চারজন কে গ্রেফতার করেছে। তার মধ্যে একজন আবার এগরা থানার আইসি কে বিক্ষোভস্থল থেকে বের করে এনেছিলেন তিনিও রয়েছেন। একজন তো আবার ঘটনার দিন সেখানে উপস্থিতই ছিলেন না। নিরপরাধ গ্রামবাসীদের এই হয়রানি বন্ধ করার আবেদন নিয়ে এগরা থানার আইসির সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু উনি থানায় ছিলেন না, তাই ডিউটি অফিসার এর সাথে কথা বলে গ্রামবাসীদের উপর হওয়া তদন্তের নামে এই ধরণের হয়রানি বন্ধ করার কথা জানালাম।’
শুভেন্দু লিখেছেন,’এই অঞ্চল মূলত কৃষিপ্রধান, অনেকের বোরো ধান এখন মাঠেই পড়ে আছে, এটা বাদাম তোলার সময়, যার চাষ এখানে হয়ে থাকে। গ্রামবাসীরা পুলিশের অত্যাচারে নিজেদের ফসল টুকুও তুলতে পারছেন না। থানার ডিউটি অফিসার কে বলেছি ওনাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়গুলি জানাতে, যাতে অবিলম্বে এই পুলিশি অত্যাচার বন্ধ হয় এবং গ্রামে শান্তি ফিরে আসে। নচেত আগামী দিনে আমরা বৃহৎ আন্দোলনে নামবো ।’।