এইদিন বিনোদন ডেস্ক,১৪ অক্টোবর : আফগান তালিবানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি তার প্রতিনিধি দল নিয়ে বর্তমানে ৬ দিনের ভারত সফরে রয়েছেন । তাকে উষ্ণ সংবর্ধনা জানিয়েছে নয়াদিল্লি । দেওবন্দ থেকেও তালিবানের বিদেশমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানানো হয় ৷ তার এই সফরে ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের এক বিরাট পরিবর্তন দেখা গেছে ৷ কারন তালিবান সরকার ভারতের সার্বভৌমত্বকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছে এবং জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে । এটা পাকিস্তানের জন্য একটা বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে । শুধু তাইই নয়,বাস্তুচ্যুত আফগান শিখ ও হিন্দুদের একটি প্রতিনিধি দলকে আফগানিস্থানে তাদের সম্পত্তি সুরক্ষিত রাখা ও ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন আমির খান মুত্তাকি ।
কিন্তু তালিবানের বিদেশমন্ত্রীর রাজকীয় সংবর্ধনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না বলিউড গীতিকার জাভেদ আখতার(Javed Akhtar) । এই সংবর্ধনায় তার “লজ্জায় মাথা নিচু” হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি । সেই সাথে আফগান নারীদের প্রতি তালিবানের অবিচারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি দেওবন্দ কর্তৃপক্ষকে ধিক্কার জানিয়েছেন । জাভেদ আখতার এক্স-এ লিখেছেন,’লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে যায় যখন দেখি বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তালেবানের প্রতিনিধিকে যারা সকল ধরণের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মিম্বরে পিটুনি দিয়েছিল, তারা যে ধরণের সম্মান ও সংবর্ধনা দিয়েছে। দেওবন্দেরও লজ্জা, তাদের “ইসলামিক হিরো” কে এত শ্রদ্ধার সাথে স্বাগত জানানোর জন্য, যারা মেয়েদের শিক্ষা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছে তাদের মধ্যে একজন। আমার ভারতীয় ভাই ও বোনেরা!!! আমাদের সাথে কি হচ্ছে?’
এদিকে নেটিজেনরা জাভেদ আখতারকে ভারতীয় মুসলিম মহিলাদের মসজিদে যেতে দেওয়ার বিষয়ে অগ্রনী ভূমিকা নেওয়ার জন্য পালটা আহ্বান জানিয়েছেন। ইন্দ্রজিৎ লিখেছেন,’আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। যেহেতু আপনার এত জোরালো কণ্ঠস্বর আছে, তাই দয়া করে ভারতীয় মুসলিম মহিলাদের জন্য এটি উত্থাপন করুন যাদের মসজিদে প্রবেশ নিষিদ্ধ।’
কেশব সিং লিখেছেন,’এটা কি শুধু তালেবানদের ক্ষেত্রেই? কেন আমরা আমাদের দেশের মসজিদে মহিলাদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তুলি না? আমরা প্রায়শই যে উত্তরটি শুনি তা হল, এটা আমাদের ঐতিহ্য। কিন্তু ঐতিহ্য কতদিন নিপীড়নের অজুহাত হিসেবে থাকবে? ১৮৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত দেওবন্দের ইতিহাসের দিকে তাকান, এই মাদ্রাসাটি এখনও সেই একই আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত যা একসময় তালেবানদের অনুপ্রাণিত করেছিল। কিন্তু আমরা কি সত্যিই এই সত্য থেকে চোখ বন্ধ করতে পারি? কেউ কেউ যুক্তি দেন যে এটি সবই ভূ-রাজনীতি এবং স্বার্থান্বেষী বিষয় । যথেষ্ট ন্যায্য, কিন্তু স্বার্থের নামে মানবতাকে পদদলিত করা কি কখনও ন্যায্য?’
প্রবীন দীক্ষিত পরামর্শ দিয়েছেন,’স্যার, আপনার গান লেখা উচিত, রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামানোর কী দরকার? বোস হিটলারের প্রতি ভালোবাসা থেকে জার্মানি যাননি।’।

