এইদিন ওয়েবডেস্ক,লিবিয়া,১৭ ডিসেম্বর : লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবির ঘটনায় অন্তত ৬১ জন শরণার্থীর সলিল সমাধি হয়েছে । মৃতদের মধ্যে অনেক মহিলা ও শিশুও রয়েছে । নৌকাটি লিবিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলে জুওয়ারা থেকে ছেড়ে যাওয়ার পরে প্রবল ঢেউয়ের কারনে সমুদ্রে ডুবে যায় । লিবিয়ায় জাতিসংঘের সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন শনিবার এএফপিকে এক জানিয়েছে, নৌকাটিতে প্রায় ৮৬ জন অভিবাসী ছিল । বড় সংখ্যক অভিবাসী মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং ২৫ জনকে উদ্ধার করে লিবিয়ার একটি কেন্দ্রে স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে । হতাহতরা নাইজেরিয়া, গাম্বিয়া এবং অন্যান্য আফ্রিকান দেশের নাগরিক বলে তিনি জানিয়েছেন । আইওএম অফিস জানিয়েছে, একটি আইওএম দল চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করেছে এবং যারা বেঁচে আছেন তারা সবাই ভালো অবস্থায় আছেন ।
লিবিয়া এবং তিউনিসিয়া থেকে ইতালি হয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর আশায় বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রার ঝুঁকি নিয়ে অভিবাসীদের জন্য প্রধান প্রস্থান পয়েন্ট হল লিবিয়ার জওয়ারা শহরের উপকুল । আইওএম-এর একজন মুখপাত্র ফ্লাভিও ডি গিয়াকোমো সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন যে চলতি বছর কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় অভিবাসী রুটে ২,২৫০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে । এই ভয়ঙ্কর চিত্র যা দেখায় যে সমুদ্রে জীবন বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তা নেওয়া হচ্ছে না।
লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ৭৫০ জন লোক বোঝাই আদ্রিয়ানা নামের একটি মাছ ধরার নৌকা গত ১৪ জুন দক্ষিণ-পশ্চিম গ্রীসের কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ডুবে যায়। জীবিতদের মতে, জাহাজটিতে প্রধানত সিরিয়ান, পাকিস্তানি এবং মিশরীয়রা ছিল। মাত্র ১০৪ জন বেঁচে গিয়েছিল এবং ৮২ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা অনুসারে, তিউনিসিয়া এবং লিবিয়া থেকে চলতি বছর ১,৫৩,০০০-এরও বেশি অভিবাসী ইতালিতে এসেছে। ইতালির উগ্র ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি অবৈধ অভিবাসন বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত বছর নির্বাচনে জয়ী হন।
ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহে স্বৈরশাসক মোআমের গাদ্দাফিকে উৎখাত ও হত্যার পর থেকে লিবিয়ায় এক দশকেরও বেশি সহিংসতা দেশটিকে মানব পাচারকারীদের জন্য একটি উর্বর ভূমিতে পরিণত করতে সাহায্য করেছে, যারা চাঁদাবাজি থেকে দাসত্ব পর্যন্ত অপব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত ।।