এইদিন ওয়েবডেস্ক,চট্টগ্রাম,০৫ ডিসেম্বর : বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের মুখ বন্ধ করতে মরিয়া হামলা শুরু করেছে দুই ইসলামি জঙ্গি সংগঠন জামাত ইসলামি ও বাংলাদেশ ন্যাশানাল পার্টি (বিএনপি) । চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী খুনে জড়িত প্রকৃত ইসলামি সন্ত্রাসীদের আড়াল করতে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভূকে প্রধান আসামী করে আরও ৭৩ জন হিন্দুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে বিএনপির জঙ্গি মহম্মদ এনামুল চৌধুরী । তারা সহ ৪০০-৬০০ জন অজ্ঞাতকে অভিযুক্ত করা হয়েছে । চট্টগ্রাম জেলার পাটিয়া থানার পটিয়ার ধলঘাট ইউনিয়নের ঈশ্বরখাইন গ্রামের বাসিন্দা (জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর : ২৫০১৯৯০২৩১) ইসলামি কট্টরপন্থী এনামুল হক চৌধুরী ওই সমস্ত হিন্দুদের বিরুদ্ধে মারামারি, ধর্মীয় আঘাত, বিস্ফোরক আইন বা ককটেল নিক্ষেপ সহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে । অভিযোগপত্রে সে বাংলাদেশের ১৪৩/ ১৪৭/ ১৪৯/ ১০৯/ ১২০ (খ)/ ৩২৩/ ৩২৫/ ৩২৬/৩০৭/ ২৯৫/ ২৯৫(ক)/৪২৭/৩৪ দন্ডবিধি তৎসহ বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩/৪ ধারায় অভিযোগ এনেছে ।
সি.এম.পি, চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্রে বিএনপির ওই জঙ্গি জানিয়েছে যে ‘২৬/১১/২০২৪ তারিখে বিকাল ৩.৩০ টে নাগাদ কোতোয়ালী থানার চট্টগ্রাম কোর্টছিল জামে মসজিদের পাশে অর্থাৎ দোয়েল ভবনের সামনে হইতে আদালত ভবনের মূল গেটের সামনে ৪০০-৫০০ জন জড়ো হয়েছিল । বিবাদী উগ্রবাদী সংগঠন ইসকনের সদস্য এবং তাহাদের সহযোগী যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা কর্মী। বিগত ২৬/১১/২০২৪ইং তারিখ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতারকৃত উন্নতাবাদী সংগঠন ইস্কনের পরিচিত নেতা ব্রাহ্মচারীর জামিন শুনানীকে কেন্দ্র করিয়া চট্টগ্রাম জজ আদালতে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করিয়া আদালত প্রাঙ্গনে বিশৃঙ্খলা ও ভাংচুর করিয়া এক জনভীতিকর পরিবেশ তৈরী করে। আমি নিম্ন স্বাক্ষরকাররি উক্ত ঘটনার দিন ও তারিখ ও সময়ে জমির রেজিস্ট্রির উদ্দেশ্যে আদালত প্রাঙ্গনের নিচে রেজিস্ট্রি ভবনের অবস্থান করাকালে ০১৯৫ বিবাদীকে কোর্টে হাজির করার উদ্দেশ্যে আদালত প্রাঙ্গনে উঠার সময় তাহার অনুসারীগণকে হুকুম প্রদান করিলে উক্ত হুকুমে উপরে উল্লেখিত বিবাদীগণসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীগণ একই উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লাঠি-সোটা এবং লাল গেরুয়া কাপড়ে পেছানো ত্রিসুল নিয়া জড়ো হয়ে পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত ১নং বিবাদীর জামিন নামঞ্জুর করিলে ২-২০নং বিবাদীগদের প্রত্যক্ষ ইন্দনে অপরাপর সকল বিবাদীসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীগণ আদালত প্রাঙ্গন হইতে বাহির হওয়ার সময় তথায় বিজ্ঞ আইনজীবীগণের পার্কিংকৃত মোটর সাইকেল, তার এবং বিভিন্ন সরকারী স্থাপনা উস্কানীমূলক শ্লোগান দিয়া ভাংচুর করিতে করিতে কোর্টছিল জামে মসজিদের সামনে আসিলে মসজিদে অবস্থানরত মুসল্লী ও ইমাম-মোয়াজ্জিনের উপর উপর্যুপুরি হামলা চালায়।’
যদিও বাস্তব ঘটনা হল হিন্দুরা চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল । সেই সময় চট্টগ্রাম আদালতের কাছে জামে মসজিদের পাশে জড়ো হয়েছিল জামাত ইসলামি ও বিএনপির বেশ কিছু সশস্ত্র সন্ত্রাসী । তারা হিন্দু মনে করে ওই মুসলিম আইনজীবীকে পিটিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে । অথচ তার দায় হিন্দুদের উপর চাপিয়ে হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদী আন্দোলনে লাগাম টানার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস ।।