এইদিন ওয়েবডেস্ক,খুলনা,১৬ নভেম্বর : বাংলাদেশে চুড়ান্ত নৈরাজ্যের সৃষ্টি করে রেখেছে খালেদা জিয়ার দল বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি(বিএনপি), দল জামাত ইসলামি, হিযবুত তাহরীতের মত উগ্র ইসলামি সংগঠনগুলি । পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো যে হিন্দু নারীদের সম্ভ্রম বাঁচানোই কঠিন হয়ে গেছে । অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে হিন্দু পুরুষদের জানমাল । ফের একবার তার প্রমান পাওয়া গেল গত ১৪ নভেম্বর রাতে । খুলনার দাকোপ উপজেলার কালাবগী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির সহ–সভাপতি সন্ত্রাসী মারুফ গাজী রাতে প্রতিবেশী হিন্দু বধূকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ । ধর্ষক মারুফ গাজী এলাকায় এতটাই সন্ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ পর্যন্ত জানানোর সাহস করতে পারছে না নির্যাতিতা ও তার পরিবার । এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে,গত শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাতে মারুফ গাজী আচমকা ওই হিন্দু বধূদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে । এরপর তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় । ঘটনার পর থেকে নির্যাতিতার পরিবার চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে, কারণ অভিযুক্ত ব্যক্তি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক ও রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত ক্ষমতাশালী হিসেবে পরিচিত এবং সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে৷ জমিজায়গা জবরদখল ছাড়াও কোনো সুন্দরী মহিলার উপর কুনজর পড়লে মারুফ গাজী তাকে লালসার শিকার বানায় ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, মারুফ গাজীর বিরুদ্ধে মুখ খুললেই হয় খুন হতে হবে, নচেৎ ভিটেমাটি ছেড়ে পালাতে হবে৷ সে এমনই সন্ত্রাসের সৃষ্টি করে রেখেছে এলাকায় । তাই হিন্দু বধূকে ধর্ষণের পরেও প্রতিবাদ তো দূরের কথা, ঘটনাটি নিয়ে মানুষ আলোচনা করতে পর্যন্ত ভয় পাচ্ছেন। বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দু হওয়ায় নির্যাতিতা ও তার পরিবার চরম আতঙ্কের মধ্যে আছেন । তবে এলাকার মানুষ বলছেন যে মারুফ গাজীর সন্ত্রাসী বাহিনীর দাপটে এখানে সংখ্যাগুরুদেরও নিরাপত্তা নেই। কেউ মুখ খুললে তার ওপর চাপ সৃষ্টি করা বা পরবর্তীতে সমস্যায় ফেলে দেওয়া—এখানে খুবই সাধারণ ঘটনা।।
Author : Eidin.

