এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৭ নভেম্বর : ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর -এর এনামুরেশন ফর্ম বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণ ও সংগ্রহের পর ডিজিটাইজেশনের কাজের দায়িত্ব পড়েছে বুথ লেভেল অফিসারদের(বিএলও) উপর । কিন্তু বহু বিএলও কম্পিউটারে ততটা অভ্যস্ত না হওয়ায় ডিজিটাইজেশনের কাজ করার নির্দেশের পর তারা চরম বিপাকে পড়েছেন । বিএলও-রা ডিজিটাইজেশনের কাজের জন্য ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগের দাবি তুলছেন । বৃহস্পতিবার ডিজিটাইজেশনের প্রশিক্ষণের জন্য পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া-১ বিডিও অফিসে বিএলও-দের ডাকা হলে মিটিং হলের মধ্যেই তারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন । একই ক্ষোভ দেখা গেলো আজ সোমবার মালদার হবিবপুর ব্লক অফিসে৷ মালদা বিধানসভার বিএলও-রা ডিজিটাইজেশনের কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়ে হবিবপুর বিডিও অফিসে ডেপুটেশন । এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ইচ্ছাকৃতভাবে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর দিচ্ছেন না যাতে ভোটার তালিকায় অবৈধ নাম বহাল থাকে । আজ বিকেলে কলকাতার , ৬ মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপি কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘বিহারে এসআইআর সফল হয়েছে কারন সেখানকার সরকার সহযোগিতা করেছিল । কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কোনো ভাবেই সহযোগীতা করছে না ।’ তিনি বলেন,’বিহার সরকার ১০০০ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর দিয়েছিল । কিন্তু মমতা ব্যানার্জি ডাটা এন্ট্রি অপারেটর দিচ্ছেন না যাতে ভোটার তালিকায় কারচুপি করা যায় ।’
জানা গেছে,আজ মালদা জেলার হবিবপুর ব্লকের অন্তর্গত হবিবপুর বিধানসভা এবং মালদা বিধানসভার বিএলও-রা হবিবপুর বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দিয়েছেন৷ তাদের অভিযোগ, তারা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে তারা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে এসআইআর-এর ফর্ম বিলি করছেন। ফর্ম বিলির পর সেই ফর্ম জমা নিচ্ছেন। সেই কাজ করতে গিয়েই তাদের হিমশিম অবস্থা । এরমধ্যে নতুন করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এনামুরেশনের ফর্ম সংগ্রহের পর তাদেরই ভোটারদের তথ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট অ্যাপে আপলোড করতে হবে ।
কিন্তু এই কাজ করতে গেলে যে প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রয়োজন তা অনেক বিএলও-র নেই। দক্ষতা থাকলেও পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। তাই তারা এই কাজ করতে অপারগ। সেই কারণেই এনামুরেশনের ফর্ম ডিজিটাইজেশনের কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন জানান তারা ।
এর আগে প্রশিক্ষণের জন্য কাটোয়া-১ বিডিও অফিসে ডাকা বিএলও-রা মিটিং হলের মধ্যেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ।কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন । কেউ অতিরিক্ত চাপ দেওয়ার জন্য আত্মহত্যার হুমকি পর্যন্ত দেন । তারা ডিজিটাইজশের জন্য ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের ব্যবস্থা করার দাবি জানান ।।

