দিব্যেন্দু রায়,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),২৬ ডিসেম্বর : নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে এক মহিলার হাত-পা বাঁধা রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করল পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার পুলিশ । বছর আটত্রিশের ওই মহিলার নাম চিন্তা দাস । কেতুগ্রাম থানার বামুণ্ডি গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলা জনমজুরির কাজ করতেন । মৃতার ছেলে দেবজ্যোতি দাসের অভিযোগ তাঁর মা’কে খুন করা হয়েছে ।
জানা গেছে,চিন্তাদেবীর স্বামী বৃন্দাবন দাস প্রায় ১৭ বছর আগে মারা গেছেন । তাঁদের দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে । ছেলে পেশায় জনমজুর দেবজ্যোতির কাছেই থাকতেন চিন্তাদেবী । শান্তিনগর গ্রামের বাসিন্দা অজিত মণ্ডল নামে এক কৃষকের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরেই জনমজুরের কাজ করতেন তিনি । মৃতার ছেলে দেবজ্যোতি জানান, একটি গোষ্ঠীর মাধ্যমে ব্যাঙ্কে ৬০ হাজার টাকা ঋণ করেছিলেন তাঁর মা । ওই টাকা অজিত মণ্ডল তাঁর মায়ের কাছে ধার নিয়েছিলেন । কিন্তু পূর্ব শর্তমত তিনি কিস্তির টাকা পরিশোধ করছিলেন না । বিষয়টি পুলিশকেও জানিয়েছেন বলে জানান দেবজ্যোতি । পুলিশ জানিয়েছে, একটি খুনের মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে ।
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে,প্রতিদিনের মত রবিবার সকালেও অজিত মণ্ডলের বাড়িতে কাজে গিয়েছিলেন চিন্তা দাস । তারপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি । এদিন সকালে ওই মহিলার হাত-পা বাঁধা রক্তাক্ত মৃতদেহটি গ্রামের পাশে মাঠের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা । খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় । পরে ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় । এদিকে ঘটনার পর থেকেই মৃতার মালিকের কোনো হদিশ নেই বলে খবর । পুলিশ তার সন্ধান চালাচ্ছে ।।