এইদিন ওয়েবডেস্ক,কিশোরগঞ্জ(বাংলাদেশ), ২৬ নভেম্বর : বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আনোয়ারাবাদ এলাকার ভৈরবের রানীর বাজারের বাসিন্দা এক হিন্দু পরিবারের দুই শিশুসহ গোটা পরিবারের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে । আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) গৌরাঙ্গ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে জনি বিশ্বাস (৩০), তার স্ত্রী নিপা রানী বিশ্বাস (২৬), এবং তাদের দুই সন্তান কথা বিশ্বাস (৪) ও দ্রুব বিশ্বাসের (৮) নিজেদের বাড়ির একটা ঘর থেকে রক্তাক্ত নিথর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ । নিহত নিপা রানী বিশ্বাস সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন । মাসহ দুই শিশুর গলা ও হাতের শিরা কাটা ছিল । অন্যদিকে জনি বিশ্বাসের দেহ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় । তারও হাতের রগ কাটা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম জানান, আজ বিকেল ৪টার দিকে স্থানীয়দের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে দরজা ভেঙে জনি বিশ্বাসের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার হাতের কব্জির শিরা কাটা ছিল । পাশেই তার স্ত্রীর মরদেহ পাওয়া যায়, যার গলা ও হাতের শিরা কাটা ছিল। এ ছাড়া বিছানায় শায়িত অবস্থায় দুই সন্তানের রক্তাক্ত নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ আল আমিন হোসাইন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যার ঘটনা। রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ কাজ করছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যদিও পুলিশের এই দাবি মানতে পারেনি স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ । তাদের প্রশ্ন, যদি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যাই করবে তাহলে জনি বিশ্বাস তার হাতের শিরা কাটতে যাবে কেন ? তাদের দাবি যে এটা পরিকল্পিতভাবে খুনের ঘটনা ।।