এইদিন ওয়েবডেস্ক,বীরভূম,২৪ মার্চ : রামপুরহাটের বগটুই কান্ডের মাঝেই এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীর রহস্যজনকভাবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল বীরভূমে । এবারে ঘটনাস্থল বীরভূম জেলার পাঁড়ুই থানা এলাকার । পুলিশ জানিয়েছে,মৃতার নাম শ্রাবণী মণ্ডল । তিনি পাঁড়ুই থানার বাতিকার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মী ছিলেন । বৃহস্পতিবার সকালে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটি তালাবদ্ধ ঘরের ভিতরে গলায় কাপড়ের ফাঁস দেওয়া শ্রাবণীদেবীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় । খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় । মৃতার পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে শ্রাবণীদেবীকে । পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে ।
জানা গেছে,ইলামবাজার ব্লকের ক্ষুদ্রপুর গ্রামে বাড়ি শ্রাবণী মণ্ডলের । প্রতিদিন নিজের স্কুটি নিয়ে বাতিকার উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে তিনি যাতায়ত করতেন । মঙ্গলবারেও যথারীতি ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছিলেন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে । কিন্তু রাত পর্যন্ত তিনি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে । কিন্তু তাঁর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি । মৃতার ভাই গোপাল মণ্ডল বলেন,’তারপর আমরা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাই । দেখি দিদির স্কুটিটি বাইরে স্ট্যান্ড করা আছে । সন্দেহ হওয়ায় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তালাবন্ধ একটি ঘরের জানালা দিয়ে লক্ষ্য করলে একটা শাড়ির ফাঁস দেওয়া দিদির দেহ মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পাই । দিদির মুখে ছিল রক্তের ছোপ । আমার দিদিকে কেউ খুন করেছে বলে আমাদের সন্দেহ ।’ দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতার পরিবার । ঘটনা ঘিরে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ।।