জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),৩১ আগস্ট : আইনের রক্ষক পুলিশ বাহিনী ধীরে ধীরে সত্যিকারের সমাজ সেবক হয়ে উঠছে সেটা আবার টের পাওয়া গেল গত ৩০ শে আগষ্ট রাখি বন্ধন উৎসবের দিন। নিজেদের উপর ন্যস্ত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেও তারা একের পর এক সমাজসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে। সেই দৃশ্যের সাক্ষী থাকার সুযোগ পেল এলাকার মানুষরা।
গ্রীষ্মকাল এলেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা দেয় রক্তের সংকট। হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে গেলেই একটাই উত্তর – ‘রক্ত নাই’ । রক্তের সংকট মেটাতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজিত হয় ‘স্বেচ্ছায় রক্তদান’ শিবিরের। এবার এগিয়ে এল পুলিশ বাহিনী। রাখি বন্ধন উৎসব উপলক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী আর এক প্রকল্প ‘উৎসর্গ’ এর অধীনে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার উদ্যোগে বুধবার (৩০আগস্ট) কৈচরে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক শাখার সহযোগিতায় শিবির থেকে প্রায় ১৬০ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়। পুলিশকর্মী, সিভিক ভলেন্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ এবং এলাকার সাধারণ মানুষ এই শিবিরে রক্তদান করেন। সংগৃহীত রক্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর আগে থানার মহিলা পুলিশ কর্মীরা সকলকে রাখি পরিয়ে রাখি বন্ধন উৎসব পালন করেন।
রক্তদাতাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য শিবিরে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী, এসডিপিও (কাটোয়া) কৌশিক বসাক, মঙ্গলকোট থানার আইসি পিণ্টু মুখার্জ্জী সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা এবং স্থানীয় কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি।
থানার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বললেন,ধীরে ধীরে পুলিশ যেভাবে সমাজবন্ধু হয়ে উঠছে সেটা খুবই প্রশংসনীয়। নিজেদের দায়িত্ব পালন করে এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে তারা সমাজের প্রতি যেভাবে নিজেদের সামাজিক দায়িত্ববোধের পরিচয় দিলেন তাতে এলাকার বিধায়ক হিসাবে আমি গর্বিত।
অন্যদিকে এসডিপিওর প্রতিক্রিয়া,আমি আমার বাহিনীর সদস্যদের জন্য গর্বিত। এভাবেই আমরা মানুষের পাশে থাকতে চাই।।