এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৩ এপ্রিল : ভাঁড়ারে মজুত ছিল মাত্র এক ইউনিট রক্ত । সন্ধ্যার দিকে সেই রক্ত হাসপাতালের এক রোগীকে দেওয়া হয় । ফলে শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে রক্তশূন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের হেমরাজ ব্লাডব্যাঙ্ক । এই অবস্থায় রাতের মধ্যে কোনও রোগীর হঠাৎ রক্তের প্রয়োজন হলে তখন কি হবে ? এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে কাটোয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর আত্মীয় পরিজনদের ।
পূর্ব বর্ধমান জেলা ছাড়াও মূর্শিদাবাদ,নদীয়া ও বীরভূম জেলা থেকে রোগীরা চিকিৎসা করাতে আসে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে । ফলে সারা বছর ধরেই হাসপাতালে রোগীর চাপ থাকে । হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের জন্য রোজ গড়ে ১৫-২০ ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয় বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে । সেই রক্তের যোগান দেওয়া হয় কাটোয়া হাসপাতালের হেমরাজ ব্লাডব্যাঙ্ক থেকে ।
কাটোয়া ব্লাডব্যাঙ্কের মেডিকেল অফিসার বাণীব্রত আচার্য বলেন, ‘মূলত স্থানীয় এলাকায় যে সমস্ত রক্তদান শিবির করা হয় তা থেকেই ব্লাডব্যাঙ্কে রক্ত সরবরাহ হয় । কিন্তু বিগত প্রায় দু’আড়াই মাস ধরে সেভাবে রক্তদান শিবির হয়নি । তাই ব্লাডব্যাঙ্কে রক্তের যোগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে।’
জানা গেছে,এদিন কেবল এবি পজেটিভ গ্রুপের এক ইউনিট রক্ত মজুদ ছিল ব্লাডব্যাঙ্কে । তাও সন্ধ্যার দিকে সেই রক্ত এক রোগীকে দেওয়া হয় । ফলে একেবারে রক্ত শূন্য হয়ে পড়েছে কাটোয়া হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্ক । এই পরিস্থিতিতে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী বা অনান্য রোগীর হঠাৎ রক্তের প্রয়োজন হলে চরম বিপাকে পড়বে রোগীর পরিবারের লোকজন ।।