এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৬ ডিসেম্বর : কেউ বলে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ‘ছায়া সংগঠন’ ! কেউ অভিযোগ করে পশ্চিমবঙ্গে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদের আগুন’ ছড়াচ্ছে ! তৃণমূল এরাজ্যে ক্ষমতায় আসার অব্যবহিত পরেই হঠাৎ গজিয়ে ওঠা কলকাতা কেন্দ্রিক ‘বাংলাপক্ষ’ নামে একটা ‘ভুঁইফোড় সংস্থা’কে নিয়ে প্রায়ই বিতর্কের সৃষ্টি হয় । সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা কলকাতার বাসিন্দা গর্গ চট্টোপাধ্যায় । ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারী,৬ বছর আগে কলকাতায় সংস্থার জন্ম । বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের তারা সাদরে স্বাগত জানাতে আগ্রহী হলেও নিজের দেশের হিন্দিভাষী মানুষের বিরুদ্ধে মূলত তাদের যত অভাব অভিযোগ । কারন তারা বাংলায় কথা বলতে পারে না । যদিও এরাজ্যে সংস্থাটির তেমন কোনো গ্রহনযোগ্যতা নেই । তবে শাসকদলের ছত্রছায়ায় থাকা সংস্থাটি বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে প্রায়ই সংবাদের শিরোনামে চলে আসে । রাজ্য বিজেপির যুবমোর্চার সহ সভাপতি তথা কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তরুনজ্যোতি তিওয়ারি বাংলা পক্ষের সদস্যদের ‘প্রতিবন্ধী আজব প্রাণী’ বলে অবিহিত করে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি তুলেছেন ।
কিন্তু হঠাৎ করে কেন এমন দাবি তুললেন তরুনজ্যোতি ? আসলে বুধবার খ্রিস্টানদের সর্ববৃহৎ উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিন পালিত হয় । আর বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাতে দিয়ে ওই সংস্থাটি ‘যিশু উপাসনা একান্ত আমাদের’ বলে মন্তব্য করে এক্স-এ লিখেছে, ‘বাংলা ও বাঙালির যীশু উপাসনা একান্তই আমাদের, যেমন যামিনী রায়ের এই কালজয়ী আঁকাগুলি, যেমন যীশু কীর্ত্তন। “ভগবান আজ এসছে ওরে, বেথলেহেমের গোয়াল ঘরে।” বড়দিনের শুভেচ্ছা। জয় বাংলা ।’ পাশাপাশি শিল্পি যামিনী রায়ের আঁকা কিছু ছবি পোস্ট করেছে । উল্লেখ্য, এই ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানটি বাংলাদেশ থেকে আমদানি করার অভিযোগ ওঠে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ।
সংস্থার ওই পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় তরুনজ্যোতি তিওয়ারি লিখেছেন,’এদেরকে দেখুন, এরা হলো আজব প্রাণী। শ্রী গণেশ পূজা থেকে শুরু করে প্রভু রামের পুজো—এগুলোর সবই এদের কাছে বহিরাগত সংস্কৃতি। ঠাকুরের আবার ভাগ আছে, দুহাতের বিশ্বকর্মা পশ্চিমবঙ্গের, আর চার হাত হলেই তিনি বহিরাগত। মা লক্ষ্মীর ক্ষেত্রেও একই কথা। মা দুর্গা পশ্চিমবঙ্গের, কিন্তু তাঁর ছেলে গণেশ এদের কাছে বহিরাগত। পাগলকে এখন পাগল বলা যায় না, তাই এদেরকে বিশেষভাবে সক্ষম বলাই ভালো। তবে এই বিশেষভাবে সক্ষম মানুষগুলোর দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন।’
তিনি আরও লিখেছেন,’এদের মালিকপক্ষ, অর্থাৎ জামাত থেকে যে নির্দেশ আসে, এরা সেটাই করে। ঈদের সময় এদের শুভেচ্ছা বার্তা দিতে দেখবেন, আর ক্রিসমাসের সময় এদের মা ঠিক মাদার মেরির মতোই হয়ে যান (এটা কে কীভাবে নেবেন, সেটা আপনার ব্যাপার)। এদের কথাবার্তা শুনলে মনে হয়, হযরত মুহাম্মদ থেকে শুরু করে যীশু খ্রিস্ট পর্যন্ত সবাই পশ্চিমবঙ্গে ভোটার কার্ড করিয়ে নিয়েছেন। শুধু প্রভু রাম পারেননি, তাই তিনি এখনো বহিরাগত। শিবঠাকুর ভুড়িওয়ালা হলে পশ্চিমবঙ্গের, আর একটু পেশী থাকলেই তিনি বহিরাগত।’ সবশেষে তরুনজ্যোতি লিখেছেন,’এমন দ্বিচারিতা আর উদ্ভট মানসিকতা দেখে সত্যিই হাসি পায়। এদের চিন্তা ভাবনা দেখে একটুও অবাক হবেন না।। এদের চিন্তাভাবনা বলে কিছু নেই, মাদারের বাঁদরের মতো মালিকের কথায় নাচে, মালিক পক্ষের আদেশ অনুসারে এরা কাজ করে।’।