এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৪ জুন : রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধী দলগুলিকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ায় অভিযোগ উঠছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে । মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে আজ বুধবারও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়ে দাপিয়ে বেড়ালো দুষ্কৃতীরা । মুহুর্মুহু বোমা পড়ে । ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামকে ক্যামেরার সামনেই সাংবাদিকদের হেনস্থা করতে দেখা গেছে । তাই এবার মনোনয়ন জমা না দিতে পারা প্রার্থীদের নিয়ে আজ বুধবার কলকাতায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে বিক্ষোভ দেখালো বিজেপি । উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বাসে চেপে বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে হাজির হয় বিজেপির প্রার্থীরা । চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন । নির্বাচন কমিশনের রাজ্য দফতরে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা নেওয়ার দাবি তোলেন শুভেন্দু । তিনি নিজেই দড়ি খুলে ব্যারিকেড সরিয়ে প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনের দফতরে ঢোকার ব্যবস্থা করে দেন । এদিন বিকেলে বিজেপির আন্দোলনে কার্যত ধুন্ধুমার কান্ড বেধে যায় নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে । মমতা ব্যানার্জিকে ‘লেডি কিম’ আখ্যা দিয়ে ‘নো ভোট টু মমতা’র ডাক দেন শুভেন্দু।
বুধবার বিকেলে কলকাতায় কমিশনের দফতরে গিয়ে প্রথমে কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী । কিছুক্ষণ পর তিনি বেরিয়ে এসে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন । রাজীব সিনহাকে তিনি মমতা ব্যানার্জির ‘পোষ্য’ বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু । মিডিয়ার সামনে শুভেন্দু বলেন,’২০ হাজার সিটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জিততে চায় শাসকদল । লুটেরা মমতা,চোর মমতা,চুরি করছে রাজীব সিনহাকে দিয়ে । আটকাতেই হবে ।’ পাশাপাশি তিনি দলীয় প্রার্থীদের আধার কার্ড নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে এসে মনোনয়ন জমা দেওয়ার আহ্বান জানান । এরপর তিনি ,’তৃণমূল হায় হায়’,’নমিনেশন করতে দিতে হবে’,’মমতা হাঠাও, দেশ বাঁচাও’ প্রভৃতি শ্লোগান তোলেন । সেই সঙ্গে শুভেন্দু জানিয়ে দেন, বৃহস্পতিবার ৩০ হাজার বিজেপি প্রার্থী কলকাতায় নির্বাচন কমিশন দপ্তরের সামনে লাইন দিয়ে মনোনয়ন জমা করবেন ।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন,’পশ্চিমবঙ্গে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জী ২০ হাজার আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জিততে চান তাই বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে আটকানো হচ্ছে। বসিরহাট, ক্যানিং ১নংও ২নং ব্লক, কোতুলপুর, পাত্রসায়ার, ইন্দাস, সিউড়ি, ভাঙড় – ১নং ও ২নং ব্লক, নানুর, সন্দেশখালি, মিনাখাঁ সহ রাজ্যের বহু জায়গায় বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন কে জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের পুলিশ এই কাজে মমতা ব্যানার্জীর দোসর হিসেবে কাজ করছে। মহামান্য উচ্চ আদালতের রায় কেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই অনুপ্রাণিত চেয়ারম্যান অবজ্ঞা করছেন। আমাদের মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়া হলে, আমরা প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনে নিয়ে এসে মনোনয়ন জমা দেবো। রাজ্যে মমতা ব্যানার্জী জঙ্গলরাজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই জঙ্গলরাজ অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার ।’।

