এইদিন ওয়েবডেস্ক,আলিপুরদুয়ার,০১ নভেম্বর : ত্রাণ বণ্টন নিয়ে ঢিলেমের অভিযোগে মাদারিহাটের বিডিওর উপর চরম ক্ষিপ্ত হলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা (MP Manoj Tigga)।নিজের চেয়ারে বসে থাকা বিডিওর সামনে আঙুল উঁচিয়ে ও টেবিল চাপড়ে কেন বারবার বলা সত্ত্বেও ত্রাণ বিলি হয়নি জানতে চান তিনি । তিনি বলেন, ‘চা বাগানের বহু শ্রমিক পরিবার বিপর্যস্ত। তাঁরা এখনও পর্যন্ত ত্রাণসামগ্রী পাননি। একটি ত্রিপলও দেওয়া হয়নি। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ত্রিপল দিচ্ছেন, এটা কোন সংবিধানে আছে? আমি আপনাকে কতবার বলেছি, বিপর্যস্ত মানুষগুলির ত্রিপল চাই। কিন্তু আপনি তো দেখছি বিডিও অফিসকে পার্টি অফিসে পরিণত করেছেন। ‘বিডিওগিরি’ করতে হলে ‘বিডিওগিরি’ করুন তা না হলে তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে রাস্তায় ঘুরুন।’
এদিকে দলীয় সাংসদের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার । তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি পোস্ট করে লিখেছেন,’আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট ব্লকের বিডিও প্রতিদিন সরকারি কার্যালয়ে বসে শাসকদল তৃণমূলের তাঁবেদারি করছেন এবং সাধারণ জনগণকে চূড়ান্ত হয়রানির মধ্যে ফেলছেন। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকের বিডিওর সামনে গিয়ে প্রতিবাদ জানালেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ শ্রী মনোজ টিগ্গা মহাশয়। কিন্তু ঔদ্ধত্য কোন পর্যায়ে পৌঁছালে তিনি পায়ের উপর পা তুলে চেয়ারে বসে রয়েছেন যখন ওই অঞ্চলের মাননীয় সাংসদ সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন! শাসকদলের মদতে এই দুর্বৃত্তায়ন এবং চূড়ান্ত ঔদ্ধত্যের বিচার সাধারণ মানুষ করবে আসন্ন নির্বাচনে। রাজ্যজুড়ে মানুষ একত্রিত হচ্ছেন এই অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে।’
জানা গেছে,সম্প্রতি ডুয়ার্সে হাতির হানায় মৃত্যু হয় মা ও মেয়ের। তাঁদের মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ জানাতে গত ২৯ অক্টোবর মাদারিহাটের বিডিও অফিসে গিয়েছিলেন সাংসদ মনোজ টিগ্গা। পাশাপাশি ৪ অক্টোবর উত্তরবঙ্গের প্রবল বৃষ্টির ফলে যে বিপর্যয় তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মনোজ। কিন্তু বিডিও এর কাছে কোনো সদুত্তর না পেয়ে তিনি চরম ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন । মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘গত ২২ অক্টোবর মাদারিহাটে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছিল মা ও মেয়ের। তাঁদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার পর প্রথমে রেঞ্জার অফিসে ডেপুটেশন দিই। কারণ মৃতের পরিবারের দাবি ছিল ক্ষতিপূরণ বাড়াতে হবে। এরপর গোটা বিষয়টি বিডিও-কে জানাই। সব শুনে তিনি আমাদের আইন বোঝাতে শুরু করেন। তাতেই শুরু হয় বাদানুবাদ।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘কীভাবে বিডিও তৃণমূলের'(TMC) সঙ্গে বসে আড্ডা দেন? কী করে সরকারি জিনিস অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে? বাগানের লোকেরা বিজেপি করে বলে একটা ত্রিপল পর্যন্ত দেয় না। গত দু’বছর ধরে পঞ্চায়েত সমিতি গঠন হয়েছে। অথচ একটা দপ্তর নেই। আমি বহুবার বলেছি, তবুও কোনও কথাই শোনেনা। বিডিও বিডিওর মতো না থাকলে এমনই হবে।’।

