দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১৪ নভেম্বর : জয়নগরের প্রত্যন্ত গ্রাম দোলুয়াখাটিতে তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি । প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনাকে সামনে রেখে আজ মঙ্গলবার তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার কাটোয়া শহরের পানুহাটে দলীয় কার্যালয়ে দলের নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ৩৬ টি মণ্ডলের ৮৪ জন বিভিন্ন স্তরের নেতারা ।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জয়নগরে জোড়া খুনের ঘটনাকে ‘তোলাবাজির বখরা’র নিয়ে ঝামেলার পরিনতি বলে দাবি করেন লকেট চ্যাটার্জি । তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের লোকেরা তোলাবাজির বখরা নিয়ে নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি করছে । আর দোষ বিজেপির ঘাড়ে চাপাচ্ছে । জয়নগরের ঘটনার তদন্ত ভার সিআইডিকে দিলে আসল সত্য কখনো সামনে আসবে না । তাই আমাদের দাবি জয়নগরে খুনের ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হোক । বগটুই কাণ্ডের মত সিবিআই তদন্ত হোক। তাহলেই প্রকৃত দোষীরা ঠিক শাস্তি পাবে ।’
তিনি বীরভূমের বগটুইয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেন, ‘বীরভূমে শিশু মহিলা সহ ১০ -১৫ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। তৃণমূলের যাদের পছন্দ হয়না তাদেরই মেরে ফেলা কাজ ।’ তিনি আরও বলেন,’তৃণমূল ৩০ শতাংশ ভোটের কথা হলে ক্ষমতায় আসে, আর ভোট মিটে গেলেই ওই তৃণমূল ৩০ শতাংশ মানুষের কথা ভুলে যায় । ওই সমস্ত মানুষদের অবস্থা আরও নিচের দিকে নামিয়ে দিয়েছে তৃণমূল ।’ তৃণমূলের ৩০ শতাংশ ভোটব্যাঙ্কের কোনো উন্নয়নই হয়নি বলে দাবি করেন বিজেপি সাংসদ ।
রাজ্য জুড়ে ‘সন্ত্রাস’, ‘অনুন্নয়ন’ ও ‘দূর্নীতি’ নিয়েও এইদিন শাসকদলকে একহাত নেন লকেট চ্যাটার্জি । লকেট চ্যাটার্জির অভিযোগ, ‘ভোট এলেই রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের লোকেরা অস্ত্র মজুত করতে শুরু করে,সন্ত্রাস শুরু হয় । আর তখন পুলিশমন্ত্রী চুপ করে বসে থাকেন ।’ পাশাপাশি তৃণমূলের একের পর এক হেভিওয়েট নেতাদের দূর্নীতির মামলায় জেলে যাওয়া প্রসঙ্গে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে কটাক্ষ করে লকেট চ্যাটার্জি বলেন, ‘দুর্নীতির ভাগ কালীঘাটে ঠিক পোঁছে যায় ।’ ‘বছরের পর বছর ধরে এই ব্যবসাই চালিয়ে যাচ্ছে’ বলে তিনি মন্তব্য করেছেন ।।