এইদিন ওয়েবডেস্ক,হুগলি,১০ জুন : বুধবার রাতে হুগলী জেলার চন্দননগরের লক্ষীগঞ্জ বাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় আহতকে চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল । বৃহস্পতিবার আহতের খবর নিতে হাসপাতালে যান হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় । সেই সময় সাংসদকে দেখে আতঙ্কিত মহিলারা বাড়ির ছাদে এসে তাঁদের বিভিন্ন অভিযোগের কথা শোনান । সাংসদকে তাঁদের আশ্বস্ত করেন।
বুধবার রাত্রি প্রায় সাড়ে এগারোটা নাগাদ চন্দননগরের লক্ষীগঞ্জ বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । দেদার বোমাবাজি ও কাচের বোতল ছোড়াছুড়ি হয় । দোকানপাট ভাঙচুরেরও ঘটনা ঘটে । এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন । এদিন এক আহতকে দেখতে হাসপাতালে আসেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় । হাসপাতাল থেকে বেড়িয়ে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ।
ঘটনা প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বুধবার রাতে চন্দননগর একটা দাঙ্গা হয়েছে । প্রচুর বাঙালি হিন্দুদের দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে । আমাদের দলীয় কর্মীদের দোকানের নষ্ট করে দিয়েছে । ইট বোতল ছোড়াছুড়ি হয়েছে । কিছু কিছু জায়গায় আগুন লাগানো হয়েছে । পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে । শুনলাম আজ সকাল থেকে নাকি ১৪৪ ধারা লাগু করা হয়েছে । এখনও পর্যন্ত দুজন আহত হয়েছেন ।’
সাংসদের অভিযোগ, ‘তেলিনিপাড়ায় একবার এরকম ঘটনা ঘটেছিল । এবারে চন্দনগরের মতো জায়গায় এমন ঘটনা ঘটল । পুলিশ প্রশাসন চুপ করে বসে আছে । কোনও রকম ল এন্ড অর্ডার সিচুয়েশন একদম খারাপ হয়ে গেছে । একটা ছোট ইস্যু পেলেই আজকে বাঙ্গালীদের উপর হিন্দুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে । এর প্রতিবাদ জানাই ।’
পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘সিপির সঙ্গে দেখা করে পুরো ঘটনা জানবো । যারা এগুলো করেছে তাদের ক’জনকে এরেস্ট করা হয়েছে জানতে চাইবো । এগুলো যদি কড়া ভাবে বন্ধ করা না যায় তাহলে আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি পুরো বাংলা জুড়ে হবে ।।