প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৬ মে : আর রাজ্যপাল নয় । এবার থেকে পশ্চিম বাংলার সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই প্রস্তাবে স্বীকৃতিও দিয়ে দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রীসভা।আর তা জানার পরেই বৃস্পতিবার বিকালে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ উগরে দিলে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় । তিনি বলেন,’বাংলায় এখন হিটলারি শাসন চলছে । তাই বাংলাতেই এইসব সম্ভব । নিজেদের বড়বড় কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতি ঢাকতেই এতবড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার মধ্য দিয়ে রাজ্যপালকে ভীষণ ভাবে অবমাননা ও অপমান করা হয়েছে বলে লকেট চট্টোপাধ্যায় দাবী করেন ।
মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করে লকেট চট্টোপাধ্যায় আরো বলেন,’ওদের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনেক কারণ রয়েছে।এখন কেঁচো খুড়তে কেউটে বেরিয়ে যাচ্ছে । এসএসসি দুর্নতিতে সেটা দেখা গেছে।এইসব নিয়ে রাজ্যপাল যাঁকে যখন খুশি ডেকে পাঠাচ্ছেন। ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবদ করছেন। রাজ্যপালকে সরিয়ে দিলে ভিতরে আর কোন প্রমাণ ভিতরে থাকবে না ।সব রাস্তাটাই সাফ হয়ে যাবে । এরজন্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।কিন্তু বাংলার মানুষ বুঝতে পারছেন,এরা এসএসসি,বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন জায়গায় টাকা পয়সা নিয়ে দুর্নীতি, কেলেঙ্কারি করে রেখেছে । রাজ্যেয় এমন সিদ্ধান্তের জন্য শিক্ষাক্ষেত্রে সমস্যা হবে“। পাশাপাশি লকেট চট্টৌপাধ্যায় রাজ্যের শাসক দলের নাম মুখে না এনে বলেন ,“ওরা রাজ্যটাকে নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভেবেছে । প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দেশটাকে নিয়ে যাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী ঠিক তার উল্টো দিক দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যটাকে। উনি চাইছেন যা খুশি তাই করতে । ল-এ্যান্ড অর্ডার সহ বিভিন্ন জায়গা উনি কব্জা করে রেখেছেন। হিটলার গিরি চালাচ্ছেন । বাংলার মানুষ এর জবাব দিয়ে দেবে ।
এদিন পূর্বস্থলী যাওয়ার আগে বর্ধমানে জেলা বিজেপি পার্টি অফিসে সাংগঠনিক সভা করেন লকেট চট্টোপাধ্যায় । সভা শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন ,তৃণমূলের প্রত্যেকটা নেতা মন্ত্রী কয়লা পাচার, গরু পাচার, স্টোন পাচারের সাথে যুক্ত। সত্যটা বেরিয়ে আসছে, মুখোশ খুলছে। এক বছরের মাথাতেই মানুষের কাছ থেকে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে তৃণমূল। এই দলের অর্ধেক নেতা মন্ত্রীরা জেলের মধ্যে থাকবে।
বিজেপি সাংসদদের দলত্যাগ করা নিয়ে হুগলীর বিজেপি সাংসদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির এখন ৩০২ জন সাংসদ আছেন। ২০২৪ শে চারশোর কাছাকাছি সাংসদ নিয়ে নরেন্দ্র মোদী ফের ক্ষমতায় আসবেন। কে দল ছেড়ে গেল তাতে কিছু যায় আসে না।পার্টির আদর্শ বিচার নিয়ে পার্টি চলবে।লকেট চট্টোপাধ্যায় এও বলেন, যাঁরা দল ছেড়ে অন্য দলে গিয়েছেন তারা নিজেদের আখের গোছানোর জন্য বিজেপিতে এসেছিল।এই ধরনের মানুষ যাঁরা এখনো বিজেপিতে আছেন তাঁরা যত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাবেন ততই মঙ্গল ।।