জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,আসানসোল(পশ্চিম বর্ধমান), ১৯ জুলাই : দলীয় নেতা অমিতাভ গড়াই, রাজীব গিরি, মদন মোহন চৌবে ও গৌরব গুপ্তাকে পাশে বসিয়ে আসানসোলের জিটি রোডের গোধুলি মোড় সংলগ্ন নিজের আবাসনের অফিসে বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন আসানসোল পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী চৈতালি তিওয়ারি। আসানসোল পুরনিগমে মিডডে মিল সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ তুলে তারা সরব হন।
চৈতালি দেবীর অভিযোগ, যেভাবে মিড ডে মিলের পরিমাণে অনিয়ম দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে কোথাও বড় কেলেঙ্কারি লুকিয়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, মিড ডে মিল সংক্রান্ত স্কুলগুলির দেওয়া শংসাপত্রের সঙ্গে পুরনিগমের পোর্টালে দেওয়া পরিমাণের সঙ্গে মেলেনি। তার আশঙ্কা কোনো গরমিল থাকার জন্যেই এই ফারাক দেখা যাচ্ছে। তার দাবি গত তিন-চার মাস ধরে স্কুলের শিক্ষকরা নিজেদের খরচে মিড ডে মিল চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ কেন্দ্র সরকার নিয়মিত বরাদ্দকৃত অর্থ পাঠিয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। তিনি আরও দাবি করেন আজকের দিনে ৫ টাকা ৪০ পয়সা ব্যয় করে শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া সম্ভব নয়।
চৈতালি দেবী বলেন, ‘শিশুদের মিড ডে মিলের দুর্নীতি বন্ধ করতে পুরনিগম যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে বিজেপি রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ আন্দোলন করবে।’ তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে অমিতাভবাবু বলেন,’দুর্নীতি ও তৃণমূল কংগ্রেস যেন সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে। সব ক্ষেত্রেই কেলেঙ্কারি বেরিয়ে আসছে। এখন তৃণমূল নেতারা কেলেঙ্কারিতে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে যে তারা বাচ্চাদের খাবারেও হাত দিয়েছে।’ রাজীব গিরির দাবি বিভিন্ন স্কুলে মিড ডে মিল তৈরি করা মহিলাদের বেতন ২০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০০ টাকা করতে হবে।
বিজেপির অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে আসানসোল পুরনিগমের শিক্ষা দফতরের মেয়র পারিষদ সুব্রত অধিকারীর দাবি, মিড ডে মিলের পরিমাণ বরাদ্দে কোনও ধরণের কারচুপি হয়নি। নির্বাচনের কারণে বরাদ্দকৃত অর্থ বন্ধ ছিল। জুন মাসের অর্থ বিভিন্ন স্কুলে দেওয়া হবে। কেন্দ্র সরকার যেভাবে টাকা পাঠাচ্ছে ঠিক সেভাবেই দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেরিতে পাঠালে আসানসোল পুরনিগম এই ব্যাপারে কিছু করতে পারবে না। তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে, বিজেপির অভিযোগের কোন সত্যতা নেই। মিড-ডে মিলের কোথাও কোনও দুর্নীতি হচ্ছে না ।।