প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১২ সেপ্টেম্বর : নাবালিকাকে লাগাতার যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক বিজেপি নেতা।ধৃতের নাম হল মিন্টু সাহা । তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর পারুলিয়া এলাকায় । নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ রবিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তর করে । পকসো অ্যাক্টে মামলা রূজু করে পুলিশ সোমবার ধৃতকে পেশ করে কালনা মহকুমা আদালতে । বিচারক ধৃতকে জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। বিজেপি নেতার এই কুকীর্তির কথা জেনে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারাও নিন্দায় সরব হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,পূর্বস্থলীর
পারুলিয়া নিবাসী বছর ১৬ বয়সী ওই নাবালিকার মাকে দিদি পাতিয়েছিল মিন্টু সাহা । অভিযোগ, প্রায় বছর দুই ধরে সেই দিদিরই নাবালিকা মেয়ের উপর মিন্টু যৌন নির্যাতন চালিয়ে যায়। নাবালিকা তাঁর মায়ের কাছে মিন্টুর কুকীর্তির কথা খুলে বলে । এরপরেই রবিবার নাবালিকার পরিবার বিজেপি নেতার মিন্টুর বিরুদ্ধে পূর্বস্থলী থানায় অভিযোগ দায়ের করে । অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ওই দিনই মিন্টু সাহাকে গ্রেপ্তার করে।
এলাকাবাসীর কথায় জানা গিয়েছে,ধৃত বিজেপি নেতা মিন্টু সাহার দাদা মাণিকলাল সাহাও বিজেপি দলের সঙ্গে যুক্ত । তিনি স্থানীয় ৪০ নম্বর জেডপির সাধারণ সম্পাদক । মাণিকলালবাবু এদিন বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আমার ভাইকে গ্রেফতার করেছে ।ভাইও বিজেপি করে । ভাই একসময় বিজেপির কনভেনর থাকলেও এখন কর্মী হিসাবেই রয়েছে । তবে আমার সঙ্গে আমার ভাইয়ের কোনও সম্পর্ক নেই ।’ ফোন না ধরায় বর্ধমান পূর্ব বিজেপির জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায়ের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। এই ঘটনা বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র দেবু টুডু বলেন,
‘এটাই বিজেপি নেতাদের আসল স্বরূপ । সেটা
জেনেই বাংলার মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে।লজ্জা শরম নেই বলেই এত কিছুর পরেও ওরা নবান্ন অভিযানের ডাকা দিয়েছে ।’।