এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১১ মে : মদ কেলেঙ্কারি মামলায় জেলবন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে সম্প্রতি জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট । এছাড়া ‘ভারতের ওসামা’ নামেও পরিচিত ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আবদুল সুবহান কুরেশিকে জামিন দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। পাশাপাশি নাগরিকত্ব সংশোধনি আইন(সিএএ) থেকে কেন্দ্রের একাধিক বিলে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ নিয়ে এখন প্রশ্ন তুলছে বিজেপি । সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে যে বিচারকরা দুর্নীতিবাজ হয়ে পড়েছেন এবং সেই কারনেই ২০১৭ সাল থেকে বিচারপতিদের সম্পদ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়নি ।
গুজরাটের আহমেদাবাদের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র প্রতাপ সিং সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে তোপ দেগে একের পর এক টুইট করেছেন । অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জামিন দেওয়া বিচারক সঞ্জীব খান্না প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন,’ইনি হলেন বিচারপতি “সঞ্জীব খান্না”, সেই বিচারকদের একজন যিনি নির্বাচনী প্রচারের জন্য কেজরিওয়ালকে “জামিন” দিয়েছিলেন। তার বাবা দেব রাজ খান্না ছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি, কাকা হর্ষ রাজ খান্না ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি।
এভাবেই চলে কলেজিয়াম ব্যবস্থা!’
তিনি তিস্তা শীতলভাদের জামিন প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদনের স্ক্রীন শট দিয়ে লিখেছেন, ‘যদি আপনার কাছে টাকা থাকে বা আপনি কলেজিয়াম সিস্টেমের অংশ হন অর্থাৎ আপনার বাবা এবং দাদু ভারতের বিচার ব্যবস্থায় থেকেছেন, তাহলে মধ্যরাতেও আপনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দরজা খুলতে পারে। সন্ধ্যায়,প্রধান বিচারপতি একটি কল পান যে গুজরাট হাইকোর্ট তিস্তা শীতলভাদের জামিন বাতিল করেছে এবং তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে, অবিলম্বে দুই বিচারপতির একটি বেঞ্চ গঠন করেছে । ১-১ টাই দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে এক ঘন্টার মধ্যে ৩ বিচারপতির বেঞ্চ গঠিত হয়। রাত ১০টায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান তিস্তা। এক সপ্তাহ পর নিয়মিত জামিন।’
‘ভারতের ওসামা বিন লাদেন’ বলে পরিচিত ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আবদুল সুবহান কুরেশিকে বিধিবদ্ধ জামিন প্রসঙ্গে তিনি বিচার ব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় তুলে লিখেছেন,’সর্বোচ্চ কালো রায়ের প্রবণতা আসতে শুরু করেছে…।দিল্লি হাইকোর্ট ইউএপিএর অধীনে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আবদুল সুবহান কুরেশিকে বিধিবদ্ধ জামিন দিয়েছে। আদালত বলেছে, ‘শুধু আপিলকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর প্রকৃতির হওয়ায় এ ধরনের ত্রাণ প্রত্যাখ্যানের একমাত্র কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।’ আবদুল সুবহান কুরেশি, ভারতের ওসামা নামেও পরিচিত, প্রায় ৪০ টি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন এবং তিনি ইতিমধ্যে ৪ বছরেরও বেশি সময় কারাগারে কাটিয়েছেন বলে জামিন চেয়েছিলেন।’
২০১৭ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বিচারপতিদের সম্পদের খতিয়ান না দেওয়া নিয়ে বিচারপতিদের বিরুদ্ধে “ঘুঁষ নিয়ে” রায় দেওয়ার মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন জিতেন্দ্র প্রতাপ সিং । এই প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন,’মিঃ ধনঞ্জয় চন্দ্রচূদজি
আপনি ভারতের প্রধান বিচারপতি । সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বিচারকদের সম্পদ ২০১৭ সাল থেকে আপডেট করা হয়নি । আপনার নেতৃত্বে বিচারকরা কি দুর্নীতি করছেন এবং শুনানির জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ নিচ্ছেন? সর্বোপরি,২০১৭ সালের পর কেন আপনিসহ সব বিচারক আপনার সম্পদ ওয়েবসাইটে পোস্ট করেননি? আমরা ভারতীয়দের মনে একটাই প্রশ্ন যে সুপ্রিম কোর্ট কি দুর্নীতিবাজ যে আপনি আপনার সম্পদ প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছেন? আপনারা কি মদ কেলেঙ্কারির অভিযুক্ত অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা নিয়ে তাকে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন? যখন এই আইনের প্রয়োজন হয় তখন কেন আপনারা সুপ্রিম কোর্টের পোর্টালে আপনার সম্পদ আপডেট করছেন না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।’
পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে ‘সুপারি নেওয়ার’ দাবি করেছেন তিনি । এই বিষয়ে জিতেন্দ্র প্রতাপ সিং লিখেছেন,’সুপ্রিম কোর্ট কি মোদীকে হারাতে সুপারি নিয়েছে? এসব প্রশ্ন দেশের মানুষ জানতে চায়-
কিছু বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে, জর্জ সোরোসের এনজিও গোষ্ঠী মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হতে বাধা দিতে যোগাযোগ করেছে।
১). বিমুদ্রাকরণের বিষয়ে শুনানি
২) রাফাল নিয়ে শুনানি
৩) কৃষি বিলের উপর নিষেধাজ্ঞা
৪) সিএএ নিষেধাজ্ঞা
৫) এন আর সি নিষিদ্ধকরুণ
৬) দিল্লি অধ্যাদেশে নিষেধাজ্ঞা
৭) আদানি হিন্ডেনবার্গ
৮).বৈদ্যুতিক বোর্ডে একটি আখ্যান তৈরি করেছেন ।
এই সুপ্রিম কোর্ট অবিলম্বে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি করেছে, যেখানে কয়েক হাজার মামলা বছরের পর বছর ধরে ঝুলে আছে। মোদীকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া থেকে ঠেকাতে দেশবিরোধী শক্তির সাথে, যে সমস্ত শক্তি ধর্মান্তর, জিহাদ, ভারতকে একটি ইসলামিক জাতি বানানো এবং সনাতনকে শেষ করার ষড়যন্ত্র করছে তারা একসাথে কাজ করছে । আর জাতিভেদে বিভক্ত হিন্দুরা নিজেদের ধ্বংসের ব্যবস্থা করছে ।।