জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,আসানসোল,১১ ফেব্রুয়ারী : উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম – সম্প্রতি রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় নারী নির্যাতনের অভিযোগ সামনে আসে। কোথাও নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করে দেওয়া হয়েছে, কোথাও বা যুবতীর উপর হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। সন্দেশখালিতো সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়ে উঠেছে। বিজেপির অভিযোগ মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে তৃণমূল নেতারা তাদের যৌনদাসী করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে।
সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে আজ রবিবার বিজেপির যুবমোর্চার ডাকে আসানসোলে পথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিজেপির কর্মীরা উষাগ্রাম মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। তারা বাসের চাকার নিচে শুয়ে পড়ে। রাস্তা অবরোধের জেরে আটকে পড়ে বাস ও অন্যান্য গাড়ি। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ পথ অবরোধ তুলতে এলে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা ও ধস্তাধস্তি হয়। প্রায় ৪৫ মিনিট পর অবরোধ উঠে যায়।
পথ অবরোধে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি বাবন মন্ডল, আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বাপ্পা চ্যাটার্জ্জী, জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায়, সাধারণ সম্পাদক তাপস রায় সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মীরা। বাপ্পা চ্যাটার্জ্জী বলেন, ‘সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের অত্যাচার এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গেছে যে মহিলারা ক্যামেরার সামনে বলতে বাধ্য হচ্ছে তৃণমূলের নেতারা এলাকার সুন্দরী মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে তাদের উপর শারীরিক অত্যাচার করে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। তাসত্বেও কিভাবে এরকম ঘৃণ্য ঘটনা ঘটে! পাঁচশ, হাজার টাকা ভাতা দিয়ে কি তিনি মহিলাদের কন্ঠ বন্ধ করতে চাইছেন। তার দাবি রাজ্যের মহিলারা আজ রাস্তায় নেমেছে। অতএব তৃণমূল গুণ্ডারা সাবধান।’
অন্যদিকে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন,’তৃণমূল কখনোই মহিলাদের উপর কোনো অত্যাচার সমর্থন করেনা। অভিযোগ সামনে এলেই প্রশাসন ও দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু বিজেপি কি বলতে পারবে দেশের গৌরব মহিলা কুস্তিগীরদের উপর যৌন হেনস্থাকারী দলীয় নেতার বিরুদ্ধে দল ও প্রশাসন কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে ?’