এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৬ ডিসেম্বর : পুরুষ সেজে ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে প্রেমের জালে ফাঁসানোর পর ফুঁসলিয়ে নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠল বীরভূম জেলার পাঁরুই এলাকার ১৯ বছরের এক তরুনীর বিরুদ্ধে । পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার খেড়ুর গ্রামের বাসিন্দা ওই নাবালিকা রবিবার বাড়ি থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় । সোমবার ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় । অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে মঙ্গলবার রাতে পাঁরুই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই তরুনীকে গ্রেফতার করে । তার বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় নিখোঁজ নাবালিকা । পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত তরুনীর নাম গীতা দাস ।
জানা গেছে,ধৃত তরুণী ভাতারের কিশোরীকে মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল । ট্রেনের টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছিল । কিন্তু ভাতার থানার পুলিশের তৎপরতায় তার সেই পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায় । কিশোরীর পরিবারের সন্দেহ গীতা দাস নামে ওই তরুনী নারী পাচারের সঙ্গে যুক্ত । পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
জানা গেছে,উদ্ধার হওয়া কিশোরী খেড়ুরের একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে । গত রবিবার সে বাড়ি থেকেই নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর পরিবারের লোকজন খোঁজখবর নিতে শুরু করে । আর তখনই তারা জানতে পারেন যে এক যুবকের সঙ্গে তাদের মেয়ে কোথাও পালিয়ে গেছে । পরের দিনেই বিষয়টি ভাতার থানায় জানায় কিশোরীর পরিবার । অভিযোগ পাওয়ার পর মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন সূত্র থেকে পুলিশ কিশোরীর অবস্থান জানতে পারে । এরপরেই মঙ্গলবার রাতে পাঁরুইয়ে হানা দিয়ে পুলিশ কিশোরী উদ্ধার করে । তবে যার বিরুদ্ধে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তার আসল পরিচয় সামনে আসার পর কার্যত হতবাক বনে যান ভাতার থানার তদন্তকারীর দল । কারন পুলিশ জানতে পারে যে অভিযুক্ত যুবক নয়, বরঞ্চ সে একজন যুবতী ।
আজ বুধবার ধৃত তরুনীকে বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয় । দেখা যায় তরুনীর গড়ন অনেকটা পুরুষদের মত । ছোটখাটো চেহারা,ছেলেদের মত মাথার চুল ছোট করে কাটা,এমনকি চালচলন হাবভাবেও রয়েছে পুরুষালি ছোঁওয়া । আর পুরুষের মত গড়নের সুযোগ নিয়েই ওই তরুনী কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিল বলে অভিযোগ ।।